Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টানা দ্বিতীয় দিনেও সর্বোচ্চ ৪২ জনের প্রাণহানি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০২০, ২:৩৯ পিএম | আপডেট : ৩:০৬ পিএম, ৮ জুন, ২০২০

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকালের মতো ৪২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এটিই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৩০ জনে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন আরো দুই হাজার ৭৩৫ জন। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৮ হাজার ৫০৪ জনে।

আজ সোমবার (০৮ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৩ হাজার ৯৬১টি। এরমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৪৪টি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার ৯৩১টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৫৭ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হলেন ১৪ হাজার ৫৬০ জন। দেশে ভাইরাসটিতে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ, তবে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৭১ শতাংশ এবং নারী ২৯ শতাংশ। আর মহামারী এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৭৭ শতাংশ এবং নারী ২৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৪২ জনের মধ্যে ৩৩ পুরুষ এবং নয়জন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের চারজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের দুজন এবং নব্বই ঊর্ধ্ব দুজন রয়েছেন।

এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ২৫ জন, চট্টগ্রামের বিভাগের আটজন, সিলেটে একজন, রাজশাহীতে একজন, খুলনা বিভাগে দুজন, বরিশালে দুজন, রংপুরে একজন এবং ময়মনসিংহে দুজন মারা গেছেন।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে। জন্স হপকিন্সের তথ্যমতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ লাখেরও বেশি। আর মৃতের সংখ্যা চার লাখেরও বেশি। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর মার্চ মাস শেষে ৫০ জনের মতো শনাক্তের কথা জানা গেলেও এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে খুব দ্রুত।

বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান ডা. নাসিমা।

করোনাভাইরাসের প্রকোপে এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গোটা বিশ্ব। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। মৃতের সংখ্যা চার লাখ দুই হাজারেরও বেশি। তবে প্রায় সোয়া ৩৪ লাখ রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ