পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল বিকেল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও বিধি মেনেই ট্রাক চালকরা বন্দরে পণ্য নিয়ে প্রবেশ করছে। আমদানি-রফতানি চালু হওয়ার খবর শুনে বন্দরের হাজার হাজার শ্রমিক কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ২৪ টি ভারতীয় ট্রাকে করে মোটরসাইকেলের পার্টস এসেছে বেনাপোল বন্দরে। এর আমদানিকারক এইচএমসিএল নিলয়, ঢাকা। রফতানিকারক ভারতের হিরো হোন্ডা কোম্পানি। আজ থেকে অন্যান্য পণ্য ভারত থেকে আমদানি হবে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২৩ মার্চ থেকে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। আমদানি-রফতানি চালু করার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বারবার পত্র দিলেও পশ্চিমবঙ্গে করোনার রেড জোন থাকায় তৃণমূল সরকার অনুমতি দেননি। চতুর্থ দফা লকডাউন চালু করার পর কেন্দ্র সরকার বেশ কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন তুলে নিয়ে আনলক অন পদ্ধতি চালু করেছে। সে সুবাদে পশ্চিমবাংলা সরকার এবং পেট্রাপোল বন্দরের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের সাথে দফায় দফায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে আমদানি রফতানি চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আজ থেকে আমদানির পাশাপাশি রফতানি চলবে।
এর আগে বেনাপোল বন্দর কাস্টমস ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা একাধিকবার পেট্রাপোল আমদানি রফতানি সমিতি এবং নানা সংগঠনের সাথে বারবার বৈঠক করলে ভারতীয়রা জিরো পয়েন্টে আমদানি রফতানি করার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেন। কিন্তু জিরো পয়েন্টে আমদানি রফতানি করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা বা কোন লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকায় সেটা সম্ভব হয় নি।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী কার্তিক চন্দ্র জানান, বন্দরে প্রায় আড়াই হাজার ট্রাক মাল বোঝাই করে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় ইতোমধ্যে ট্রাকে থাকা পণ্যের গুনগত মান নষ্টের পথে। অনেক ট্রাকের ব্যাটারি, টায়ার ইত্যাদি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় একটু ধীর গতিতে আমদানি রফতানি হবে বলে তিনি জানান ।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মামুন তরফদার জানান, পিপি ও মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বিধি মেনেই ট্রাক চালক ও হেলপাররা পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করছে। পণ্য দ্রুত বন্দরে লোড আনলোড করার জন্য আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি।
বেনাপোল কাস্টম কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রকৃতি ও পণ্যের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে বেনাপোলে রেলকার্গো চালু এখন সময়ের দাবি। আমদানিকারকের সামনে মুক্তবাজার অর্থনীতি, বিকল্প পণ্য, বিকল্প দেশ উন্মুক্ত। বহু আমাদানিকারক বেনাপোল থেকে চট্টগ্রাম, মোংলা ও অন্যান্য বন্দরে চলে গেছে। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে স্থলপথে পুনরায় আমদানি রফতানি শুরুর বিষয়টি বাণিজ্যিকভাবে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।