Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রাম-বরিশাল খুলনা মহাসড়কে যানবাহন পারাপারে চরম বিড়ম্বনা

জোয়ারে পন্টুন-গ্যাংওয়ে ডুবে যাচ্ছে ভাটায় নব্যতা সংকট

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২০, ২:১৩ পিএম

কতৃপক্ষের সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহনে উদাশীনতায় চট্টগ্রাম-বরিশাল খুলনা/মোংলা মহাসড়কের ফেরি সেক্টরে যানবাহন পারাপারে চরম বিপর্যয়ে সুষ্ঠু সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় সংকট ক্রমশ ঘনিভুত হচ্ছে। উপক’লীয় ৩টি বিভাগের সংক্ষিপ্ত এ মহাসড়কের ভোলাÑলক্ষ্মীপুর এবং ভোলাÑবরিশালের মধ্যবর্তি ফেরি সার্ভিস এখন প্রতিদিন ভরা জোয়ারে ৩-৪ ঘন্টা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে। অপরদিকে মূল মেঘনা থেকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট ফেরিঘাট মুখি রহমতখালী চ্যানেলটির মোহনা ভাটার সময় নাব্যতা সংকটে যানবাহন পারপারও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ।
ফলে ভোলা লক্ষ্মীপুর সেক্টরে প্রতিদিন যে পরিমান যানবাহন পারাপার হচ্ছে, তার দ্বিগুনের বেশী অপেক্ষমান থাকছে। ভোলার ইলিশা এবং লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর হাট আর বরিশালের লাহারহাট ফেরি ঘাটের ত্রুটিপূর্ণ পন্টুন ও গ্যাংওয়েগুলো বর্ষার এ ভরা জোয়ারে ডুবে যাওয়ায় প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা পর্যন্ত যানবাহন পারাপার বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ ভোলা ও লক্ষ্মীপুরে নুতন পন্টুন মোতায়েন করলেও তার গ্যাংওয়ে ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় চালু করা সম্ভব হয়নি।
ফলে দেশের দক্ষিণ উপক’লীয় এ মহাসড়কে বিড়ম্বনা এখন নিত্যদিনের। ইলিশাঘাট ও মজু চৌধুরীর হাট ঘাটের পন্টুনের গ্যাংওয়েগুলো বর্তমান বর্ষা মৌশুমের ভরা জোয়ারে ৩-৫ ফুট পর্যন্ত ডুবে যাচ্ছে। ভরা জোয়ারে ঘাটগুলোতে যানাহন বোঝাই ফেরিগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষমান থাকছে। বর্তমানে ভোলা লক্ষ্মীপুর সেক্টরে বিআইডব্লিউটিসি’র ‘কলমীলতা, কনকচাঁপা ও কিশানী’ নামের ৩টি কে-টাইপ ফেরি থাকলেও ঘাটের বিড়ম্বনায় ফেরিগুলো তার ক্ষমতানুযায়ী যানবাহন পারাপার করতে পারছেনা। ফলে ২৪ ঘন্টায় এ সেক্টরে ২শ যানবাহন পারাপারের পরে আরো অন্তত ৪শ মেঘনাার দু প্রান্তে অপেক্ষমান থাকায় চট্টগ্রাম থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রাককে বরিশালে পৌছতেই ৩দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অথচ চট্টগ্রাম থেকে লক্ষ্মীপুর-ভোলা হয়ে বরিশাল ও খুলনা/মোংলার দুরত্ব চট্টগ্রাম ঢাকা মহাসড়কের চেয়ে অর্ধেকেরও কম।
অপরদিকে ভোলা ও বরিশালের মধ্যবর্তি ভেভদুরিয়া লাহারহাট রুটের লাহারহাট ঘাটের পন্টুনও ভরা জোয়ারে ঘাটের চেয়ে ওপরে উঠে যাওয়ায় যানবাহন পারাপার বন্ধ থাকছে ঘন্টার পর ঘন্টা। এঘাটের পন্টুন বিআইডব্লিউটসি তার ইউটিলিটি টাইপ ফেরির সাথে তৈরী করলেও কারিগরি ত্রুটির কারনে তা ঘাটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। লক্ষ্মীপুরে রহমতখালী চানেলের মোহনায় গত কয়েক বছর ধরেই শীত মৌশুমে ড্রেজিং করা হলেও তা কয়েক মাসের মধ্যেই নাব্যতা হারাচ্ছে। ফলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ ফেফরি সেক্টর সহ নৌপথটি চরম ঝুকিতে পড়ছে। বর্তমান ভরা বর্ষায়ও নাব্যতা র্সংকটে ভাটার সময় রহমতখালি চ্যানের কোন নৌযান প্রবেস করতে পারছে না।
এসব বিষয়ে বিআইডিব্লিউটিসি’র বরিশাল ও ভোলার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করা হলে তারা জানান, ‘বিষয়গুলো সংস্থার উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এসমস্যা সমাধানে উভয় দপ্তরই চেষ্টা করছে বলেও জানান তারা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ