পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনভাইরাসের কারণে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও কমছে। চলতি বছরের এপ্রিল শেষে বেসরকারি খাতে ব্যাংকের ঋণ বিতরণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। এটি আগের সাড়ে ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ঋণ প্রবৃদ্ধি। এর আগে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বেসরকারি খাতে সর্বনিম্ন ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। ওই সময়ের পর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বেসরকারি খাতে সর্বনিম্ন ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সা¤প্রতিককালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে আসে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশে বেশ কিছুদিন ধরে বিনিয়োগ পরিস্থিতি স্থবির ছিল। সরকারি বিনিয়োগ কিছুটা বাড়লেও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে। মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের ধাক্কায় এখন সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতেই বিনিয়োগ কমছে। তাদের মতে, জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রয়েছে বেসরকারি খাতের। আর এই খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ধারবাহিকভাবে কমে যাওয়ার মানে কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে। এই অবস্থা প্রবৃদ্ধি, উৎপাদন ও সেবা খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। করোনাভাইরাসের কারণে আগামীতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জ্বা আজিজুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন ধরেই দেশে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমছিল। করোনার কারণে তা আরও কমেছে। কারণ এই অবস্থায় মানুষ বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি নিচ্ছে না। আবার ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করার মতো ভালো অবস্থানে নেই।
তিনি বলেন, ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর যেমন সমস্যা রযেছে তেমনি ঋণের চাহিদাও কমে গেছে। সার্বিকভাবে দেশে বিনিয়োগ এবং রফতানি প্রবৃদ্ধিও কমে গেছে। এতে করে ব্যাংকের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গত ৩১ জুলাই চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ধরা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। এর আগে গত বছরের জানুয়ারি মাসে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। জুলাই মাসে এসে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৭ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়। কিন্তু তারপরেও তা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয় ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি হয় ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।