Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা আর ৩৫ জনের প্রাণহানি, শনাক্ত ২৬৩৫

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২০, ২:৩৭ পিএম | আপডেট : ২:৫৫ পিএম, ৬ জুন, ২০২০

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৪৬ জনে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন আরো দুই হাজার ৬৩৫ জন। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১০ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৩ হাজার ২৬ জনে।

আজ শনিবার (০৬ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

দেশের ৫০টি পিসিআর ল্যাবে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১২ হাজার ৯০৯টি। এরমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৪৮৬টি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫১টি। এর মধ্যে বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রাফাতুল্লা হাসপাতালে একটি নতুন পরীক্ষাগার যুক্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে কক্সবাজার ও জামালপুরের দুটি ল্যাবের পাশাপাশি গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবেও গতকাল করোনা পরীক্ষা হয়নি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫২১ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হলেন ১৩ হাজার ৩২৫ জন। দেশে ভাইরাসটিতে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৩৫ জনের মধ্যে ২৮ পুরুষ এবং সাতজন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সের দুজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের নয়জন এবং আশি ঊর্ধ্ব একজন।

এখন পর্যন্ত মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৭৭ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং নারী ২২ দশমিক ৯৩।

এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ২০ জন, চট্টগ্রামের বিভাগের আটজন, সিলেটে দুইজন, রাজশাহীতে তিনজন এবং বরিশাল বিভাগে দুজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৫ জন, আর বাড়িতে মারা গেছেন নয় জন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে। জন্স হপকিন্সের তথ্যমতে এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৫ লাখেরও বেশি। আর মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ৮৬ হাজারেরও বেশি। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর মার্চ মাস শেষে ৫০ জনের মতো শনাক্তের কথা জানা গেলেও এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার বাড়ে খুব দ্রুত।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা একশ ছাড়ায় গত ৬ এপ্রিল। ওই দিনের ব্রিফিংয়ে ১৪টি পিসিআর ল্যাবে ৪৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৩৫ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়। মোট করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যায় ১২ এপ্রিল। সেদিন ১৭টি পিসিআর ল্যাবে ১ হাজার ৩৪০ জনের শরীরের নমুনা পরীক্ষায় ১৩৯ জনের পজিটিভ পাওয়া যায়। এরপর ১৪ এপ্রিল ১৭টি ল্যাবে ১ হাজার ৯০৫ জনের পরীক্ষায় ২০৯ জন পজিটিভ হওয়ার তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে যায় ১৬ এপ্রিল। ওই দিন ১৭টি ল্যাবে ২ হাজার ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪১ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য প্রকাশ করা হয়। মোট নিশ্চিত করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে যায় ২৩ এপ্রিল। এদিন ১৯টি ল্যাবে ৩ হাজার ৪১৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪১৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ