পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই গণপরিবহণ চালু হয়েছে। বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সোয়া দুই মাস পর চালু হওয়ায় ঢাকা মহানগরীর বাসে যাত্রী হলেও দূরপাল্লার বাসগুলোতে যাত্রী কম। করোনার ভয়ে অতি প্রয়োজন না হলে কোথাও যাচ্ছে না মানুষ। ঢাকা থেকে বের হচ্ছেন না; আবার বাইরের জেলা থেকেও ঢাকায় আসতে চাচ্ছেন না। তবে ভাড়া বাড়ানোয় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।
পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, ঢাকা থেকে সারাদেশের জেলা পর্যায়ের রুটগুলোর বাসে যাত্রী কম থাকায় কমেছে ট্রিপ সংখ্যাও। আগে যেখানে প্রতি ৩০ মিনিট পর বাস ছেড়ে যেতো, সেখানে এখন যাত্রীর অভাবে দুই ঘণ্টায়ও একটি বাস ছেড়ে যেতে পারছে না।
গতকাল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, ২৫-৩০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বেশিরভাগ বাস ছেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলা শহর অভিমুখে। বাস টার্মিনালেও যাত্রীদের আনাগোনা খুবই কম।
গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, উত্তরাঞ্চলগামী বাসে যাত্রীর সংখ্যা অপ্রতুল। বাসের ভাড়া বাড়ায় যাত্রী কম বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। কুষ্টিয়াগামী শ্যামলী পরিবহনে গিয়ে দেখা গেল, ২০ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে বাসটি। অবশ্য বাসে ওঠার আগে যাত্রীদের জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়। রংপুরগামী এসআর পরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়েই ঢাকা ছাড়তে দেখা যায়। একই অবস্থা রাজধানীর আরেক বাস টার্মিনাল মহাখালীতেও। ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল অঞ্চলের যাত্রীরা মূলত এ বাস টার্মিনাল থেকে যাতায়াত করেন। যেখানে সবসময় যাত্রীর আনাগোনা লেগে থাকতো। এখন সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। হালুয়াঘাটগামী শ্যামলী বাংলা পরিবহনের সহকারী সাইদুল বলেন, অর্ধেকের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রামে আগে নন এসি বাসের ভাড়া ছিল ৪৭০ টাকা। সেই ভাড়া এখন সাড়ে ৬০০ টাকা। এসি বাসের ভাড়া ছিল ১২০০ টাকা, সেটা বেড়ে এখন ২০০০ টাকা করা হয়েছে। চট্টগ্রামগামী এনা, সউদিয়া, সোহাগ, শ্যামলী, হানিফ বাসে দেখা গেল কম যাত্রী নিয়েই বাসগুলো চলাচল করছে। এনা পরিবহনের চালক এরশাদ মিয়া বলেন, যাত্রী তো একেবারেই কম। এমনিতেই অর্ধেক যাত্রী নেয়ার বাধ্যবাধকতা। এরমধ্যেও আবার যাত্রী কম। বেশিরভাগ সময়ই ২০-২৫ যাত্রী নিয়ে যেতে হয়।
ঢাকা থেকে সিলেটের ভাড়া নন এসি বাসে আগে ছিল ৪৮০ টাকা। সেটা বেড়ে এখন করা হয়েছে সাড়ে ৬ থেকে ৭শ’ টাকা। সে রুটেও যাত্রীদের সংখ্যা একেবারেই কম। এসি বাসের ভাড়া ১২০০ থেকে বেড়ে ২০০০ টাকা। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসে যাতায়াত করছে না।
সিলেটগামী ইউনিক পরিবহনের চালক জিতু মিয়া বলেন, একদিকে করোনা, অপরদিকে ভাড়া বেশি। এ দুই মিলে বাসে যাত্রী কমেছে। অল্প যাত্রী নিয়েই যাচ্ছি আমরা। সুনামগঞ্জগামী মামুন পরিবহনের ড্রাইভার সজিব বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় প্রচÐ আর্থিক কষ্টে দিনযাপন করেছি দুই মাস। এখন কম যাত্রী নিয়েই চলাচল করছি।
ঢাকা থেকে নোয়াখালী নন এসি বাসের ভাড়া ছিল ৩০০ টাকা, সেটা বেড়ে এখন ৫০০ টাকা। নোয়াখালী রুটে চলাচলকারী হিমাচল বাসের সহকারী আবু দাউদ বলেন, করোনার ভয় ছাড়াও যাত্রীদের মধ্যে ভাড়া বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে। এখন বাস বিমুখ যাত্রীরা। বাসে যারা যাতায়াত করেন তারা হঠাৎ জরুরি কাজ ছাড়া কেউ যাচ্ছে না। হিমাচল পরিবহনের যাত্রী মো. মোস্তফা বলেন, জরুরি কাজ পড়ায় নোয়াখালীতে যেতে হচ্ছে। না হয় এতো বেশি ভাড়া দিয়ে বাসে যেতাম না।
পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েকদিন থেকে বাস চলাচল করছে। বাসভাড়া বৃদ্ধিতে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তবে করোনার ভয়েই মূলত মানুষ যাতায়াত করছেন কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।