পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত ও হটস্পট নিউইয়র্কে বুধকার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। গত তিন মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো মৃত্যুশূন্য থাকল বিশ্বের রাজধানী খ্যাত এই নগরী। এদিকে, গতকাল নিজেদের করোনাভাইরাসমুক্ত ঘোষণা করলো প্রশান্ত মহাসাগরের দেশ ফিজি, তাও আবার শতভাগ সুস্থতা নিয়ে।
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের মেয়র ডি ব্লাজিওর মুখপাত্র ফ্রেডি গোল্ডস্টেইন বলেন, ‘আজ আমরা করোনাভাইরাসে মৃত্যুর কোন খবর পাইনি। তিনি আরও জানান, নিউইয়র্কে কোভিড-১৯ ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে, যা সত্যি ভালো খবর।’ তিনি বলেন, তিন ধাপে ব্যবসা বাণিজ্য খুলে দেয়া হবে। বুধবার করোনাভাইরাসে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ২০০ থেকে ৪৮ জনে নেমে এসেছে। এছাড়া পাবলিক হাসপাতালে আইসিউতে রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে যা সত্যি ভালো খবর বলে মেয়র জানান।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও অনেক দেশই স্কুল ও কর্মক্ষেত্র খুলে দিয়ে লকডাউন শিথিলের পথে হাঁটছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো করোনার টিকা মানুষের ওপর পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফলের খবরে আর্থিক বাজারগুলোতে সামান্য উর্ধগতিও দেখা গেছে। করোনার প্রকোপের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে। শুক্রবার থেকে পুনরায় সেখানকার সবকিছু চালু করা হবে। যদিও ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বাউসার সতর্ক করে বলেছেন যে, এর ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও বেড়ে যেতে পারে। ওয়াশিংটনের রেস্টুরেন্টগুলোও খুলে দেয়া হবে। তবে রেস্টুরেন্টের বাইরে টেবিল-চেয়ার বিছিয়ে লোকজনকে খাবার পরিবেশন করা যাবে। অপরদিকে সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হচ্ছে সেলুন।
এদিকে, মার্চে মাঝামাঝি শনাক্ত হওয়ার পর করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি ফিজিতে। প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ফিজিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছিল। কিন্তু কঠোর আইসোলেশন ও সীমান্তে কড়াকড়ি সংক্রমণ বাড়তেই দেয়নি। মাত্র ১৮ জনের করোনা হয়েছে। এই বিজয়ে দেশের মানুষের ‘প্রার্থনা ও কঠোর পরিশ্রম’ ভ‚মিকা রেখেছে বললেন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক বেইনিমারামা। টুইটারে করোনামুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ফিজি এইমাত্র শেষ কোভিড-১৯ রোগীর ছাড়পত্র দিলো। আমরা দৈনিক করোনা পরীক্ষার হার বাড়ালেও শেষ আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছিল ৪৫ দিন আগে। কোনো মৃত্যু নেই, আমাদের সুস্থতার হার শতভাগ।’
স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামোগত ঘাটতি এবং জনগণের ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে করোনা মহামারিতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবা হয়েছিল ফিজিকে। তবে সতর্ক ছিল ওশেনিয়া মহাদেশের প্রায় ৯ লাখ মানুষের দেশটি। প্রথম সংক্রমণের পরই কার্যকরী পদক্ষেপ নেয় সরকার। সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। দেশবাসীর জীবনকে গুরুত্ব দিতে পর্যটন খাতও বন্ধ করে দেয়, যা দেশটির অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। সূত্র : ডেইলি মেইল, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।