পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে ২২ চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের এই সংগঠন করোনাভাইরাস ইস্যুতে কোভিড-১৯ মনিটরিং কমিটি গঠন করে। এই মনিটরিং কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সারা দেশে গতকাল ভোর পর্যন্ত এক হাজার ৪১ জন চিকিৎসক এবং এক হাজার ৪০০ জন নার্স, হেলথ টেকনোলজিস্ট, স্যাকমোসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা এবং পরীক্ষা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৮ এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে ৪ জনসহ সর্বমোট ২২ চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুযাত্রায় নবীন থেকে প্রবীণ চিকিৎসকও রয়েছেন।
ড্যাবের করোনা মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক ডা. একেএম মহিউদ্দীন ভুঁইয়া মাসুম ও সদস্য সচিব ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির। ডা. মেহবুব উল কাদির স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়- গত ১৬ এপ্রিল করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে প্রথম মৃত্যুবরণ করেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন আহমেদ। এরপর ৩ মে প্রফেসর (অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল) ডা. মো. মনিরুজ্জামান, ১১ মে ফরেন্সিক মেডিসিনের প্রফেসর ডা. আনিসুর রহমান, ১২ মে ইবনে সিনা হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. আবুল মুকারিম এবং স্বনামধন্য সার্জন প্রফেসর ডা. মীর মাহবুবুল আলম, পরবর্তীতে ডা. সারোয়ার ইবনে আজিজ, ডা. আজিজুর রহমান রাজু, ডা. এমএ মতিন, ডা. দিলরুবা খানম, ডা. আমিনা খান, অর্থপেডিক সার্জারির প্রফেসর মো. মোশাররফ হোসেন, রংপুরের ডা. আব্দুর রহমান, ডা. সাইদুর ইসলাম, বক্ষব্যাধী বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়াহিদুজ্জামান আকন্দ, ইউরোলজিস্ট ডা. মঞ্জুর রাশিদ চোধুরী, ডিজি হেলথের সাবেক ইভালুয়েটর ডা. কেএম ওয়াহিদুল হক, বারডেম মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. মহিউদ্দিন, চট্টগ্রামের ডা. সৈয়দ জাফর হোসাইন রুমি এবং ডা. এহসানুল করিম সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার মারা যান পিজির ইউরোলজি বিভাগের ডা. গোলাম কিবরিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে স্বাস্থ্যসেবায় জড়িত ব্যক্তিদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। ত্রæটিপূর্ণ পিপিই, মানহীন মাস্ক, ফেসশিল্ডসহ মানহীন সুরক্ষাসামগ্রী, পিপিই ব্যবহারের পর ডিসপোজাল করার জন্য বায়োহ্যাজার্ড ব্যাগ অপ্রতুলতা, চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই পরিধান এবং খোলা যাকে ডোনিং-ডোফিং বলা হয় এ বিষয়ে কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয়নি। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী এবং অন্যান্য জরুরি রোগীর চিকিৎসার সঠিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গাইডলাইন না থাকায় স্বাস্থ্যসেবার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে রোগী উপসর্গ গোপন করাও অন্যতম একটি কারণ।
কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিটি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, আইসিইউ বেড রোগীর চাহিদার তুলনায় স্বল্পতা আছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে এখনো একটি কাঠামোর মধ্যে এনে কোভিড চিকিৎসায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
ড্যাবের মনিটরিং কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম থেকেই বলছি- টেস্ট, টেস্ট এবং ট্রেসিং। সরকার একগুয়ে কারণে প্রথম থেকেই টেস্ট কম করছে এবং টেস্ট করার কেন্দ্র সীমিত রেখেছিল। পরবর্তীতে নানাবিধ চাপে টেস্ট করার সেন্টার এবং টেস্ট করার সংখ্যা বৃদ্ধি করে, যা এখন পর্যন্ত যথেষ্ট নয়। ৩০ মার্চ পর্যন্ত শুধু ১টি প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করেছে, মোট নমুনা সংগ্রহ করেছিল ১ হাজার ৩৩৮ জনের এবং করোনা সনাক্ত হয়েছিল ৪৯ জনের, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করেছিল ৬৪ হাজার ৬৬৬ জনের, করোনা সনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ৬৬৭ জনের, এবং ৩ জুন পর্যন্ত ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৩ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে, করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৫ হাজার ১৪০ জনের এবং এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৪৬ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।