Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা টেস্টে ভীত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা

এএফপি | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বঙ্গোপসাগরের একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে স্থানান্তরিত হওয়ার আশঙ্কায় তাদের বাংলাদেশ ক্যাম্পগুলোর কোয়ারেন্টিন থেকে পালাচ্ছেন। তাদের স¤প্রদায়ের নেতারা গত বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার প্রথম কোভিড-১৯-এ মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে পরীক্ষায় পজেটিভ হওয়া কমপক্ষে দু’জন শরণার্থী নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তের শিবিরগুলিতে সর্বশেষ করোনাভাইরাস দুর্দশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব রোহিঙ্গার বেশিরভাগই ২০১৩ সালে মিয়ানমারে একটি সামরিক দমনাভিযান থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে এসেছিল।
এইড এজেন্সিগুলো দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করে আসছে যে, ভাইরাসটি জনাকীর্ণ শিবিরগুলিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কার্যত অসম্ভব। এখন পর্যন্ত এখানে মাত্র ২৯ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যদিও ১৬ হাজার রোহিঙ্গা শিবিরগুলির মধ্যে পৃথক পৃথক কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। শিবিরগুলোতে কত জনকে টেস্ট করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে একজন প্রবীণ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পজেটিভ হওয়া দুই ব্যক্তি ‘হাসপাতালের কোয়ারেন্টিন থেকে পালিয়ে গেছেন’।
তিনি আরও জানান, গত দু’দিনে মাত্র ২০ জন শরণার্থী টেস্টে সম্মত হয়েছেন, কারণ তাদের বিশ্বাস, আক্রান্তদের বঙ্গোপসাগরের ভাসানচর দ্বীপে পাঠানো হবে। ‘এটি জনগণের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে’, নুরুল ইসলাম নামে স¤প্রদায়ের এক নেতা এএফপিকে বলেন। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্ন দ্বীপটিতে ১ লাখ মানুষের জন্য একটি শিবির স্থাপন করতে চেয়েছিল এবং ইতিমধ্যে সেখানে ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে পাঠিয়েছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আতঙ্কিত। আমরা তাদের জানিয়েছি তাদের আর কোথাও পাঠানো হবে না’। এই কর্মকর্তার মতে, ক্যাম্পগুলিতে প্রায় ৫০০ আইসোলেশন বেড প্রস্তুত করা হলেও বেশিরভাগই খালি। কারণ মাত্র কয়েক জন শনাক্ত হয়েছে।
করোনাভাইরাস থেকে প্রথম রোহিঙ্গা প্রাণহানির বিষয়টি কেবল মঙ্গলবারই ঘোষণা করা হয় এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ভাইরাসটি কতটা বিস্তৃত হতে পারে তা দেখার জন্য তাদের টেস্ট বাড়াতে হবে। তবে একটি শিবির ব্লকের সরকারি প্রশাসক খলিলুর রহমান খান জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা বলছেন যে, শরণার্থীরা টেস্টে অংশ নিতে অনাগ্রহী। বেশ কয়েক জন রোহিঙ্গা নেতা বলছিলেন, ভাসান চরে ৩০৬ শরণার্থীকে স্থানান্তর করায় গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল যে, করোনাভাইরাসযুক্ত যে কাউকে তাদের সাথে যোগ দিতে পাঠানো হবে।
আবু জামান নামে স¤প্রদায়ের এক নেতা বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করতে যেতে লোকেরা ভয় পাচ্ছে’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ