পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদের পর লকডাউন খুলে দেয়ার পর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে সরকার। কারণ প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। সে কারণে এবার নতুন করে কড়াকড়ি আরোপের কথা ভাবছে সরকার। তবে সেনাবাহিনী নয়, এবারো পুলিশকে বেশি দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। সারাদেশকে সাধারণ ছুটি বা লকডাউনের আওতায় না এনে যেসব বড় শহরে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক সেগুলোতে কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার চিন্তা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করে সুপারিশমালা তৈরি করছে। কমিটির সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদন হলে এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার না হলে আগামী সপ্তাহে নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত সোমবার জরুরিভিত্তিতে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, দেশ এখন করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকির দিকে এগুচ্ছে বলে অনেকেই বৈঠকে মত দিয়েছেন। এ অবস্থায় করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সব ধরনের নিয়ম-কানুন মেনে চলার বিকল্প নেই। বড় শহরগুলোতেই যেহেতু আক্রান্তের হার বেশি, তাই প্রথমেই ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর শহরকে নতুন করে নিয়ন্ত্রণের আওতায় এনে প্রয়োজনে লকডাউনের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে মেয়রদের বলা হয়েছে, বৈঠকের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করে সুপারিশমালা তৈরি করেছে। তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন দিলে আজ অথবা আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের জানানো হবে। এখনো ১৫ থেকে ৩০ দিনের কড়া লকডাউনে গেলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে একাধিক জনপ্রতিনিধি মত প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ এখন সর্বোচ্চ ঝুঁকির দিকে যাচ্ছে। এই সময়ে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত আন্তর্জাতিকভাবে যেসব নিয়ম-কানুন দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই পালন করার বিকল্প নেই।
ঢাকার বাইরের দু’জন মেয়র ঈদের আগে গার্মেন্ট কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না বলে মত প্রকাশ করেন। ঈদের আগে গার্মেন্ট না খুলে দিয়ে ঈদের পর অন্তত ১০-১৫ দিন পর্যন্ত টানা ছুটি বৃদ্ধি করলে দেশ উচ্চ ঝুঁকির দিকে যেত না বলে তারা বলেন। তারা আরো বলেছেন, সরকার সব কিছুই করছে, কিন্তু এই বৈঠকটি যদি ছুটি বাতিলের আগে মেয়রদের নিয়ে করা হতো তাহলে ভালো হতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মেয়র ইনকিলাবকে বলেন, ঈদের পর লকডাউন খুলে দেয়ার পর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে সরকার। তবে সেনাবাহিনী নামিয়েছে ঠিক আছে কিন্তু তাদের ক্ষমতা দিলে ভাল হতো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে কয়েক কোটি মানুষের বাস। এই শহরগুলোতে আন্তঃজেলার পরিবহন বন্ধ না করে সংক্রমণ রোধে ওয়ার্ডভিত্তিক রেড, ইয়েলো এবং গ্রিন জোন ভাগ করা হতে পারে বলে বৈঠকে এ বিষয়ে রূপরেখা হিসেবে বলা হয়েছে, যারা করোনায় আক্রান্তের টেস্ট দিচ্ছে সেখানে ওই ব্যক্তির সব তথ্য থাকে। টেস্টে যারা পজিটিভ হবে তাদের তথ্য রোগী নিজে জানার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকার ওয়ার্ড কমিশনার বা চেয়ারম্যানদের জানিয়ে দেয়া হবে। তখন ওয়ার্ডভিত্তিক রোগীর সংখ্যা হিসাব করে জোন ঠিক করা হবে। যেসব এলাকায় রোগী দ্রুতবৃদ্ধির চিত্র দেখা যাবে সেসব এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত হবে। এভাবে দেশের অন্য কোথাও যদি রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়, সেখানেও একই পদ্ধতি জোনিং হবে। এক মেয়র বলেন, কাদের স্বার্থে গার্মেন্ট খোলা হয়েছিল, কাদের পরামর্শে ঈদের পর তড়িঘড়ি করে সব খুলে দেয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। এসব সিদ্ধান্ত সরকারের বিপক্ষে গেছে বলে তিনি মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।