পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাতির নিচে অন্ধকার! যারা নির্দেশনা দিচ্ছে তাদের ঘরেই বেহাল দশা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অথচ স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মীরাই কাজ করছেন। ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। উপসর্গ দেখা দিয়েছে শতাধিক কর্মীর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিস্থিতির অবনতি হলে বিকল্প কর্মীর অভাবে সংকট মুহূর্তে অফিস চালানো দুরূহ হয়ে পড়বে। স্থবির হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যক্রম। এতে করে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা বজায় রাখা কঠিন হবে। তাই অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল ও নিরবছিন্ন সেবার জন্য স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনসহ কর্মীদের রোস্টারিং ডিউটির ব্যবস্থা করা জরুরি বলছেন কর্মকর্তারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিন প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার কর্মী বাংলাদেশ ব্যাংকে আসছেন। গাড়িতে পাশাপাশি বসে অফিসে আসতে হচ্ছে। প্রধান ফটক দিয়ে একসঙ্গে ঢুকছেন। লিফটে গাদাগাদি করে সবাই একসঙ্গে উঠছেন। আবার অফিসে একসঙ্গে বসে কাজ করতে হচ্ছে। অনেক লোকের সমাগম এখানে। তাই চাইলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ভয়াবহ রূপ নেবে। ব্যাংকের অধিকাংশ কর্মী কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হবেন। তখন অফিসের কার্যক্রম চালানো দুরূহ হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সরকার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কর্মকর্তার উপস্থিতি কমিয়ে কাজ করানোর জন্য। যারা বাসায় বসে কাজ করতে পারবেন তাদের অফিসে আসতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এখানে সব কর্মকর্তা কাজ করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আরও অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। যারা করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন, ফলাফল এখনও তাদের হাতে পৌঁছায়নি। তবে অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ প্রকাশ পায় না বিধায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা আরও অধিক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের করোনাভাইরাস মুক্ত রেখে আর্থিক খাত নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখার জন্য ১৯ মার্চ থেকে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া তাদের ১৫০ জন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাকে সম্পূর্ণ আলাদা করে রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছে ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বরাত দিয়ে ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল বলছে, সংক্রমণের ঝুঁকি যতটা সম্ভব কমিয়ে কর্মীদের নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে হবে। কোন কর্মী আগে কাজে ফিরবেন তা নির্ধারণ করার পাশাপাশি যারা ঘরে থেকে কাজ চালিয়ে যেতে পারছেন তাদের ঘরে থেকেই কাজ করতে হবে।
এমন প্রেক্ষাপটে করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যাপ্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং অফিস, বিভাগ, সেকশন কর্মকর্তাদের দু-তিন ভাগে ভাগ করে সাপ্তাহিক বা পাক্ষিক আবর্তনের মাধ্যমেও অফিস পরিচালনার বিষয়ে গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে দাবি জানিয়েছে অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।