Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কাঁঠালিয়ায় আম্ফানে ভাঙা বেড়িবাঁধ পরিদর্শন পানি উন্নয়ন বোর্ডের

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০২০, ৫:২০ পিএম

ঘূর্নিঝড় আম্ফানের আঘাতে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় বিষখালী নদীর ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিকেলে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো.হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে একটি দল ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ এলাকা ঘুরে দেখেন। এসময় স্থানীয়রা টেকসই স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য প্রধান প্রকৌশলীর কাছে দাবি জানান। তিনি অল্প সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।
এসময় তাঁর সসেঙ্গ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.শফি উদ্দিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও এমাদুল হক মনির, ভাইস চেয়ারম্যান মো.বদিউজ্জামান সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো.হাবিবুর রহমান উজির সিকদার, ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক কামাল, মাহমুদ হোসেন রিপন, কামরুজ্জামান লিটন, বিআরডিবির চেয়ারম্যান কাওসার আহম্মেদ জেনিভ, জেলা পরিষদ সদস্য মো.শাখাওয়াত হোসেন অপুসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ঝড় জলোচ্ছ্বাসসহ প্রতিটি দুর্যোগে কাঁঠালিয়া এই বেড়িবাঁধ বিপন্ন হয়। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও বাঁধ নির্মাণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কেউই। সর্বশেষ ঘূর্নিঝড় আম্ফানে বিষখালী নদীর পানির তোড়ে বাঁধটি ভেঙে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়। ভেসে গেছে মাছের ঘের, বিধ্বস্ত হয়েছে বাড়িঘর, উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছপালা। পোলট্রি শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, উপজেলার আমুয়া থেকে জাঙ্গালিয়া পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্নিঝড় সিডরের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে প্রতিটি ঝড় জলোচ্ছ্বাসে কাঁঠালিয়া সদর, বড় কাঁঠালিয়া, জয়খালী, রঘুয়ারচর, আওরাবুনিয়া ও জাঙ্গালিয়ার পাঁচ কিলোমিটার এলাকা ভেঙে বাঁধটি চরম বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে কৃষকের ফসলের মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ