বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উচ্চঝুঁকির চট্টগ্রামে সংক্রমণ বিপজ্জনক হারে বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। রাজধানী ঢাকার পর দেশে সর্বোচ্চ সংক্রমণ চট্টগ্রামে। সংক্রমণ দ্রæত বাড়লেও করোনা টেস্টের হার বাড়েনি। নমুনা দেয়া থেকে শুরু করে টেস্টের রিপোর্ট পেতে পদে পদে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ল্যাবগুলোতে নমুনাজটে বেহাল অবস্থা। হাসপাতালে চিকিৎসাসেবাও নাজুক। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। মৃত্যু এবং উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ আতঙ্ক বিরাজ করছে সর্বত্রই।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের প্রবীণ আইনজীবী বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য ও জেলা বারের সাবেক সভাপতি রাজনীতিবিদ কবির চৌধুরী (৮৫) উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বেলা ১১টায় তার মৃত্যু হয়। তার আগে উপসর্গ নিয়ে করিম উল্লাহ (৫৩) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
করোনা টেস্টের রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় অনেকে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এখনও রিপোর্ট পেতে ৫দিন পার হয়ে যাচ্ছে। ল্যাবের সংখ্যা বাড়িয়ে তিনটি করা হয়েছে। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবেও চট্টগ্রামের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরপরও নমুনাজট কমছে না। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়েও করোনা ল্যাব চালু হচ্ছে।
নমুনা দিতেও ভোগান্তির শেষ নেই। হাসপাতালে লাইন ধরে নমুনা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের বাইরে নমুনা সংগ্রহে বুথ চালু হলেও কিটসহ সরঞ্জামের অভাবে সেগুলো কার্যকর করা যাচ্ছে না। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীতে ১২টি বুথ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। ছয়টি বুথ বসানো হলেও কিটের অভাবে সেগুলো অলস বসে আছে।
কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা ইনকিলাবকে বলেন, ছয়টি বুথ বসানো হয়েছে। এখন নমুনা সংগ্রহের কিটসহ সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি। সরঞ্জাম পেলে নমুনা সংগ্রহ শুরু হবে। বুথের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। চিটাগাং চেম্বারও নগরীতে সাতটি বুথ বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি সেন্টারে তিনশ’ শয্যার আইসোলেশান সেন্টার চালুর কাজ শুরু হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এটি পরিচালিত হবে। চালু হওয়া সিআরবি রেলওয়ে হাসপাতালও আইসোলেশন হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, যাদের বাসায় আইসোলেশনে থাকার ব্যবস্থা নেই তারা সেখানে যাবেন। তবে প্রথমে সব রোগীকে জেনারেল হাসপাতালে যেতে হবে। সেখানে অবস্থা দেখে চিকিৎসকগণ তাদের হলি ক্রিসেন্ট, চমেক হাসপাতাল অথবা রেলওয়ে হাসপাতালে প্রেরণ করবেন। সরকারিভাবে করোনা হাসপাতাল হিসাবে ঘোষিত ইমপেরিয়াল ও ইউএসটিসিতে হাসপাতাল দুটির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা দেওয়া হবে। সিভিল সার্জনের হিসাবে গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে আক্রান্ত তিন হাজার ১৮৮ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।