দেশে পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে ৫২টি ল্যাবের পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ১৪ হাজার ৯৫০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৭০৪টি। এ নিয়ে এযাবত মোট নমুনা পরীক্ষা দাঁড়াল ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩টিতে।
করোনা : ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ শনাক্ত ২৯১১, মৃত আরও ৩৭
স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২০, ২:৪৪ পিএম | আপডেট : ৩:০৮ পিএম, ২ জুন, ২০২০
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭০৯-এ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯১১ জন। যা এখন পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের হিসেবে সর্বোচ্চ। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫২ হাজার ৪৪৫ জনে।
আজ সোমবার (২ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫২৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ১২০ জন।
দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ২৮ জনের। যা ২৪ মে’র বুলেটিনে জানানো হয়। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ২ হাজার ৫২৩ জনের। ওই তথ্য জানানো হয় ২৯ মে'র বুলেটিনে।
এছাড়া গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু করে। ৮ মার্চ দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়।
এদিকে দেশে গত ২৮ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৫৪৯ জন। এরপর ২৯ এপ্রিল ৬৪১ জন, ৩০ এপ্রিল ৫৬৪ জন, ১ মে ৫৭১ জন, ২ মে ৫৫২ জন, ৩ মে ৬৬৫ জন, ৪ মে ৬৮৮, ৫ মে ৭৮৬ জন, ৬ মে ৭৯০ জন, ৭ মে ৭০৬ জন, ৮ মে ৭০৯ জন এবং ৯ মে ৬৩৬ জন, ১০ মে ৮৮৭ জন, ১১ মে ১০৩৪ জন, ১২ মে ৯৬৯, ১৩ মে ১১৬২ জন, ১৪ মে ১০৪১, ১৫ মে ১২০২, ১৬ মে ৯৩০, ১৭ মে ১২৭৩, ১৮ মে ১৬০২, ১৯ মে ১২৫১ জন ও ২০ মে ১৬১৭, ২১ মে ১৭৭৩, ২২ মে ১৬৯৪, ২৩ মে ১৮৭৩, ২৪ মে ১৫৩২, ২৫ মে ১৯৭৫, ২৬ মে ১১৬৬, ২৭ মে ১৫৪১, ২৮ মে ২০২৯, ৩০ মে ২৫২৩, ৩১ মে ৪০, ১ জুন ২২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হলেও এখন করোনাভাইরাসের কবলে গোটা বিশ্বই। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল।