Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

করোনায় ৪০ শতাংশ চাহিদা কমবে তৈরি পোশাকের

ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বাজেটে নগদ প্রণোদনাসহ অর্থ সহায়তা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২০, ১২:১১ এএম

করোনার চাপ কাটিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে আসছে বাজেটে নগদ প্রণোদনাসহ নানাভাবে অর্থ সহায়তা চান তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা। রফতানিমুখী পোশাক খাতের মতোই করপোরেট কর সুবিধার পাশাপাশি অন্তত এক বছরের জন্য উৎসে কর মওকুফ চায় গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্প। এদিকে একক খাত নির্ভর সহায়তা কমিয়ে বাজারভিত্তিক নীতি-পরিকল্পনা হাতে নেয়ার পরামর্শ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের। করোনার এক ধাক্কা পাল্টে দিয়েছে অর্থনীতির হালচাল। বিশ্বমন্দার মুখে পড়া ভোক্তারা কমিয়ে দিয়েছেন ভোগ-ব্যয়। আর এতেই শঙ্কা, শুধু তৈরি পোশাকেরই চাহিদা কমবে ৪০ শতাংশ।
এ অবস্থায় আসছে বাজেটে নতুন করে সহায়ক নীতি কৌশল চান পোশাক শিল্প মালিকরা। নগদ সহায়তার ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ কর প্রত্যাহারের পাশাপাশি ২ বছরের জন্য দেশীয় কাঁচামালে তৈরি পোশাক রফতানিতে ১০ শতাংশ ও বিদেশি কাঁচামালে করলে ৪ শতাংশ নগদ সহায়তার দাবি তাদের। ব্যবসা গুটিয়ে নিতে চান নিরাপদ প্রস্থান পলিসি।
বিকেএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিশ্ব মহামারি করোনারভাইরাসের কারণে আগামী ১ বছরে বন্ধ হয়ে যাবে বহু শিল্প কারখানা, হারিয়ে যাবে অনেক উদ্যোক্তা। তাদের নিরাপত্তার দিক নির্দেশনা বিষয়ে থাকতে হবে এবারের বাজেটে। বরাদ্দ রাখতে হবে বড় অঙ্ক। গেল কয়েক বছর ধরে জিপার, বোতামসহ ৯০ ভাগের বেশি আনুষঙ্গিক পণ্য সরবরাহ করে পোশাকখাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্প। বাড়ছে এখাতের সরাসরি রফতানিও। বারবার আশ্বাস পাওয়া উদ্যোক্তাদের চাওয়া এবার অন্তত সহায়ক নীতি-কৌশল নিয়ে পাশে দাঁড়াবে সরকার।
বিজিএপিএমইএর সভাপতি আবদুল কাদের খান বলেন, এক বন্ড লাইসেন্স সুবিধা ছাড়া আর কোনো বেনিফিটই আমরা তেমন পাই না। আমাদের সোর্স ট্যাক্স শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। এটা এক বছরের জন্য শূন্য হারে করা হোক। করপোরেট ট্যাক্স যেটা ৩৫ শতাংশ, এটা কোনোভাবেই ১০-১২ শতাংশের উপর যেতে পারে না। যারা এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড তারা যেহেতু ১০-১২ শতাংশ পান। আমরাও এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড ফ্যাক্টরি, আমরা এটা পাওয়ার অধিকার রাখি। তবে রফতানি আয় ও কর্মসংস্থান বিবেচনায় বাজারভিত্তিক সহায়তা বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, রফতানি খাতের সংকোচন যদি হয়, তাহলে যারা শ্রমিক-কর্মচারী আছেন তাদের চাকরির বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার সংকট না কাটলে, আমরা এখান থেকে যে প্রণোদনা দেব, সেই প্রণোদনা দিয়ে কিন্তু বাজার ধরা যাবে না। এক্সপোর্ট সেক্টরের জন্য ইতোমধ্যে যে সব সুবিধা বিরাজমান আছে, সেগুলো থাকতে পারে।
বর্তমানে প্রেক্ষাপটে প্রতিমাসে শূন্য হারে রিটার্ন দাখিলের বিধানও তুলে দেয়ার দাবি পোশাকখাতের ব্যবসায়ীদের।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ