পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে কৃষি ও কৃষকদের নাজুক-দুর্বিসহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কৃষি ও কৃষকদের স্বার্থরক্ষার জন্য ১০ দফা প্রস্তবানা দিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব এসব প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত ছিলো। যেমন কৃষির ব্যাপারে বলি, কৃষি আমাদের মেরুদন্ড। করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বে। এখান থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা কিন্তু এই কৃষি। কৃষিকে যদি আরো উজ্জীবিত করতে পারেন, উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারেন, কর্মসংস্থান সেখানে বাড়াতে পারেন তাহলে এখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। সরকার কৃষিতে যে প্রণোদনা দিয়েছে তা একেবারেই অবহেলিত হয়েছে। এছাড়া বাস ভাড়া বৃদ্ধিকে অমানবিক বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। গতকাল সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কর্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
বিএনপির ১০ প্রস্তাবনা : কৃষি ও কৃষকের জন্য বিএনপির প্রস্তাবানার মধ্যে রয়েছে- আগামী একবছর পোল্ট্রি ও ডেয়েরীসহ সকল ধরনের কৃষি ঋণের কিস্তি সুদসহ মওকুফ, বীজ, সার, কিটনাশক, সেচ ও ভতর্‚কিসহ প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, কৃষিপণ্যসহ আম, লিচু কাঁঠাল, পেয়ারা প্রভৃতি ফল সরকারি উদ্যোগে বাজারজাত নিশ্চিতকরণ, কৃষকদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, কৃষকদের উৎপাদিত ধানের বিপরীতে কমপক্ষে তিন মাসের সমপরিমান টাকা বিনা সুদে প্রদান, কৃষকদের কাছ থেকে বেশি পরিমান ধান ক্রয়ে অতিরিক্ত ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ, প্রান্তিক চাষী ও ক্ষেত মজুরদের জন্য বিশেষ সুদবিহীন ঋণ ও কৃষকদের ওপরে হয়রানি বন্ধ করে তাদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ও চাল ক্রয়ের ব্যবস্থা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে কৃষক দলের নেয়া কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল। ১০ জুন প্রতিটি জেলায় প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে চলতি মৌসুমে বোরো ধান ক্রয়ের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ, আর্থিক ও পরিবহন সঙ্কটে যেসকল কৃষক ধান বিক্রি করতে পারছে না তাদেরকে কৃষকদল থেকে সহায়তা প্রদান এবং প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে চলমান ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রাখার কথাও জানান তিনি।
বাস ভাড়া বৃদ্ধি অমানবিক সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এমনিতেই মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। বাসে কারা উঠে? কম আয়ের সাধারণ মানুষেরাই বাসে উঠে। তাদের বাস ভাড়া বাড়িয়ে দিলো। কার স্বার্থে বাড়িয়েছে? মালিকদের স্বার্থে বাড়িয়েছে। মালিকদেরকে আবার প্রণোদনা দিচ্ছে, অনুদান দিচ্ছে। পুরো বিষয়টা হয়েছে লুটপাটের জন্য, পুরোপুরি লুটপাট।
মহামারীর মধ্যেই সবকিছু খুলে দেয়র সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ট্রেন, লঞ্চে গাদাগাদি করে মানুষ আসছে। বাসে উঠার জন্য রীতিমতো মারামারি হচ্ছে। আপনি অফিস খুলে দিয়েছেন, অফিস খুললে তো লোকজন আসবেই। অথচ বার বার করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাদেও (সরকার) নিয়োজিত যে টেনিক্যাল পরামর্শক কমিটি রয়েছে তারাও বলছেন যে, এটা (সব কিছু খুলে দেয়া) একটা সুইসাইডাল। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর যে ব্যক্তিগত চিকিৎসক আবদুল্লাহ (এম আবদুল্লাহ) সাহেব, তিনি পরিস্কার করে বলেছেন যে, এটা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করবে, সংক্রামণ আরো ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। তারা (সরকার) ব্যর্থ হয়েছে এই করোনাভাইরাসের উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।