পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ দুই মাস আট দিন পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আতঙ্কের মধ্যেই গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে গপরিবহন চলাচল শুরু হয়। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবহন শ্রমিক নেতারা আসন প্রতি ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নেওয়ার দাবি করলেও যাত্রীদের অভিযোগ দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সকাল থেকে বিভিন্ন যানবাহনে সরকারি নির্দেশনা মেনে যাত্রীদের উঠানামা করতে দেখা যায়। হাইওয়ে পুলিশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে হ্যান্ডমাইক দিয়ে গাড়ী চালকদের প্রতি আহবান জানাতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শুয়াগাজী, পদুয়ার বাজার বিশ^রোড, ক্যান্টনমেন্ট, চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখো যায় ঢাকার পথে নির্দিষ্ট পরিমাণ যাত্রী নিয়ে সীমিতসংখ্যক দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার দেখা যায় বাসের যাত্রী চালক ও হেলপারদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে বাসগুলোতে জীবানুনাশক স্প্রে ছিটানো, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বাসে বসাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন ময়নামতি হাইওয়ে থানার ওসি সাফায়েত হোনের নেতৃতে পুলিশের সদস্যরা।
এ সময় বেশির ভাগ পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীকে মাস্ক পরে চলাচল করতে দেখো গেছে এছাড়া কোনো কোনো বাসচালকে পিপিই ও হ্যান্ড গ্লাভস পরে বাস চালাতেও দেখা গেছে। প্রতিটি বাসের দুটি সিটের জায়গায় একজন যাত্রীকে বসানো হয়। তবে, একই পরিবারের দু’জন যাত্রী থাকলে তাদের পাশাপাশি বসানো হয়। এদিকে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবহন শ্রমিকরা আসন প্রতি ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নেওয়ার দাবি করলেও যাত্রীদের অভিযোগ তাদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে ঢাকা-কুমিল্লা সড়কে একেকজন যাত্রীর বাস ভাড়া ২০০ টাকা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ৬০ শতাংশ বৃদ্ধিতে বাস ভাড়া নেওয়ার কথা ৩২০ টাকা। সেখানে নেওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকা।
আলমগীর হোসেন নামে একজন যাত্রী জানান, তিনি করোনার আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইলিয়টগঞ্জ থেকে ঢাকা যেতেন ৯০ টাকা দিয়ে এখন দেওয়া হয়ে ১৫০ টাকা। তার অভিযোগ ১৫০ টাকা দিলেও তাকে টিকিট দেওয়া হয়নি। একই ধরনের অভিযোগ ঢাকা-নোয়াখালী সড়কের যাত্রী কামরুল ইসলামের। সাইফুল নামের ঢাকার এক যাত্রী ক্ষীপ্ত হয়ে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, করোনার সময় এমনিতেই সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থা খারাপ। তার ওপর অনেকের চাকরি নেই। চাকরি থাকলেও বেতন নেই। এ অবস্থায় বাড়তি ভাড়া মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ে পরিণত হয়েছে।
মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সরকার যে সমস্ত নির্দেশনা দিয়েছে-তা মেনেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে, কোনো যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে সেই গাড়ির চালক-হেলপার ও গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।