পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় দুই মাসেরও অধিক সময় রাজধানী ঢাকা ছিল ফাঁকা। কয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু ব্যস্ত এই মহাগরকে চেনাই যেত না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং সামাজিক ট্রান্সমিশন ঠেকাতে সরকার সাধারণ ছুটি দিয়ে রেখেছিল।
তবে ৬৬ দিন পর ছুটি শেষে গতকাল সচিবালয়সহ অফিসপাড়া কোলাহলে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। রাজধানীর আনাচে-কানাচে ব্যাংক-বীমাসহ প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই খুলে গেছে। তবে সরকারের তরফে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে অফিস করতে হবে। এদিকে দীর্ঘ ছুটির পর রাজধানীর চিরচেনা চেহারা স্বরূপে ফিরেছে। রোববার সকাল থেকে লেগেছিল রাজপথে গাড়ির জটলা। মহানগরের প্রতিটি মোড়ে সিগন্যালে থামতে হয়েছে গাড়ি। রাজধানীর প্রবেশ মুখ ও প্রধান সড়গুলোতেও যানজট ছিল। একই চিত্র মার্কেট, শপিং মল, কাঁচাবাজারসহ সর্বত্রই।
গতকালও ৪০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজারের ঘরে। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বুলেটিনে জ্যামিতিক হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির খবরেও যেন কারো ভীতি নেই মনে। সচেতন হচ্ছেন না মানুষ। অবিবেচকের মতো নিজেরা আক্রান্ত হচ্ছেন অন্যের আক্রান্তের কারণ হচ্ছেন। সরকারি অফিস খোলার প্রথম দিন গতকাল ঢাকার পথে পথে দেখা গেছে মানুষ আর মানুষ। দলে দলে যোগ দিয়েছেন কর্মস্থলে। সকালেই যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদ, ধোলাইপাড়, বাড্ডা, মহাখালী, কারওয়ান বাজার, গাবতলী, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, সড়কে সড়কে গাড়ির জটলা। গণপরিবহনগুলোর কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করছে। আবার কোনোটিতে তা মানা হচ্ছে না।
অফিস খোলায় গতকালও প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, মিনিট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ঢাকায় আসেন মানুষ। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নৌরুট শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায়, মাওয়া-কাঁঠালবাড়িসহ সবগুলো ঘাটে মানুষ সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করেনি। কোথাও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করার চেষ্টাও দেখা যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণপরিবহন কখনোই সীমিত আকারে চালানো সম্ভব নয়। তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণের দিক থেকে নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে এভাবে সব খোলার সিদ্ধান্তক আত্মঘাতী। আপত্তি এসেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকেও। তবে সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেয়া হচ্ছে, অর্থনীতি সচলের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এসব খোলা হয়েছে। ১৫ জুন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে ততদিনে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি সামাল দেয়ার অবস্থায় থাকবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। কেননা তারা বলছেন দেশে লকডাউন ঠিকভাবে করা যায়নি, যে কারণে ভাইরাস এখন ৬৪ জেলায়ই ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা না এলে গণপরিবহনসহ সবকিছু খুলে দেয়ায় চরম মূল্য দিতে হতে পারে। লকডাউন সঠিকভাবে কার্যকর না হওয়ায় সারাদেশে সামাজিক সংক্রমণ ঘটায় জুন মাসে করোনায় ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করেছে ডক্টরস প্লাটফর্ম ফর পিপলস হেলথ। তারা মনে করছেন, সবকিছু খুলে দেয়ার ফলে নিয়ন্ত্রণহীন পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ। উল্লেখ করোনা সংক্রমণ এড়াতে গত ২৬ মার্চ থেকে রু হয় সাধারণ ছুটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।