পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে চলাফেরা করার কথা বলা হলেও কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ফেরি, সড়কের যানবাহন সর্বত্রই ঠাসাঠাসি করে চলাফেলার করছে মানুষ। গতকাল শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায়, মাওয়া-কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ফেরি এবং রাজধানী ঢাকার প্রবেশমুখগুলোর মহাসড়কে দেখা যায় মানুষ যেভাবে পারছে ছুঁটছে কর্মস্থল ঢাকা ও ঢাকার আশপাশে।
আইইডিসিআর-এর সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোসতাক আহমেদ বলেন, গাদাগাদি করে যানবাহনে মানুষের যাতায়াত করোনা সংক্রমণ আরো বাড়বে। এতে সামাজিক ট্রান্সমিশন ভয়াবহভাবে বেড়ে যাবে। এ মুহূর্তে লকডাইন শিথিল করে সবকিছু খুলে দিয়ে করোনাভাইরাসকে কার্যত আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
গতকালও গণপরিবহন বন্ধ ছিল। কিন্তু রোববার অফিস খোলায় প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, মিনিট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ঢাকায় আসেন মানুষ। ঢাকার প্রবেশ মুখে ছিল প্রচন্ড ভিড়। বিআইডব্লিউটিসি কতৃপক্ষ সুত্র জানায়, শুধু দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ছোটবড় ১৪টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাট ম্যানেজার সাফায়েত হোসেন বলেন, ১৫টি ফেরির মধ্যে একটি নষ্ট। ১৪টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পার করা হচ্ছে। মানুষের চাপ বেশি হওয়ায় যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি কোনোটাই মানছেন না। যেন কার আগে কে ফেরিতে উঠবে এই প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। বাস্তবতাও হলো বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের ফেরিতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা কঠিন।
মুন্সিগঞ্জের মাওয়াঘাট এবং শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঢাকামুখি যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পদ্মা পাড়ি দেওয়ার পর শিমুলিয়া ঘাট থেকে অটোরিকশা, মিশুক আর রিকশায় করে সড়কে ভেঙে ভেঙে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী।
গণপরিবহণ চালু হওয়ার আগেই গতকাল রাজধানীর প্রবেশ মুখ যাত্রাবাড়ি, আবদুল্লাহপুর, গাবতলীতে দেখা গেছে মানুষ আর যানবাহনের জট। ট্রাফিক পুলিশকে রীতিমতো যানবাহন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয়। বিভিন্ন মোড়ে দেখা যায় মাঝে মাঝে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানবাহনে গাদাগাদি করে ছাড়াও পায়ে হেটে আসছে মানুষ। কিছু মানুষের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও হাতে গ্লাভস নেই। মানুষকে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে চলাফেরা করতে বাধ্য করারও কেউ নেই। করোনাভাইরাস নামের মরণঘাতি ব্যাধি যেন বাংলাদেশে আসেনি, এ মানসিকতা নিয়েই চলাফেরা করছেন মানুষ।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, এ ধরণের চলাফেরা করোনা ঝুঁকি আরো বাড়াবে। সবকিছু খুলে দিয়ে ত্রিমুখী বিপদে ফেলা হচ্ছে দেশকে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে প্রচুর মানুষ অসুস্থ হবে, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে এবং একই সঙ্গে মৃত্যু ঘটবে।
এদিকে চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামের প্রবেশপথে কর্মজীবী মানুষের ভিড় জটলা লেগেই আছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই মানুষ গাদাগাদি করে ফিরছে নগরীতে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ছোট ছোট গাড়ি এমনকি পিকআপ ও ট্রাকেও নগরীতে ফিরছে শ্রমিকরা। ঈদের ছুটি শেষে অনেক কলকারখানা ইতোমধ্যে চালু হয়েছে।
আজ রোববার থেকে সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত এবং কলকারখানা পুরোদমে চালু হচ্ছে। আর তাই আগে ভাবে ফিরছে কর্মজীবীরা। নগরীর কর্ণফুলী সেতু, সিটি গেইট, অক্সিজেন মোড়, কালুরঘাট সেতু এলাকাসহ প্রতিটি প্রবেশপথে ছিলো মানুষের ভিড়। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে গত কয়েকদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
এদিকে আজ গণপরিবহন চলাচলও শুরু হচ্ছে। গতকাল থেকে রেলের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। দূরপাল্লার বাসেও টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এক সাথে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল শুরু হলে ঝুঁকি আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।