পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের তিনজন কোভিড-১৯ রোগীর নমুনা থেকে নতুন করোনাভাইরাসের সম্পূর্ণ জিন বিন্যাস বা জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছেন বাংলাদেশ শিল্প ও গবেষণা পরিষদ-বিসিএসআইআর’র জিনোমিক রিসার্চ গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা। গবেষণাগারের প্রধান সেলিম খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তিনজন কোভিড-১৯ রোগীর সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সের পর ডেটা অ্যানালাইসিসে দেখা যায় অ্যামাইনো এসিড লেভেলে মোট নয়টি ভেরিয়েন্ট রয়েছে। সেলিম খান বলেন, ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করতে গেলে তার (সম্পূর্ণ) জিনোম সিকোয়েন্সিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে উহানে যে ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছিল, আমরা তার প্রেক্ষিতে দেখছি, ভাইরাস ক্রমাগতভাবে তার জেনেটিক বৈশিষ্ট্য পাল্টে ফেলছে। এখন জিনোম সিকোয়েন্সিং করেই আমরা ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের পথ পাবো। ডেটা অ্যানালাইসিসে বাংলাদেশের এই ভাইরাসটির সাথে সবচাইতে বেশি মিল (৯৯.৯৯ শতাংশ) পাওয়া যায় ইউরোপিয়ান উৎসের। বিশেষ করে সুইডেনের সঙ্গে। বিস্তারিত জানার জন্য বিসিএসআইআর’র তিনটিসহ বাংলাদেশে সর্বমোট ২৩টি মাত্র ফুল সিকোয়েন্সিং ডেটা নেয়া হয়েছে। যা মোটেই যথেষ্ট নয়।
সেলিম খান বলেন, উৎস, ক্লাস্টার, ট্রান্সমিশন ডাইনামিক্স, মলিকুলার ডেটিং, ভ্যাক্সিন ডিজাইনসহ অন্যান্য গবেষণা কাজ বেগবান করার জন্য এই মুহুর্তে প্রয়োজন অনেক বেশি সিকোয়েন্সিং ডেটা। তাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সম্ভাব্য সকল এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বিসিএসআইআর’র জিনোমিক রিসার্চ গবেষণাগারে সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশনা দিয়েছে।
এর আগে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএইচআরএফ), ‘ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইন্সটিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (ডিআরআইসিএম)’ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) গবেষকরা নতুন করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছেন। এছাড়া নতুন এই ভাইরাসের জিন রহস্য উন্মোচনে গবেষণা শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
জিনোম সিকোয়েন্সিং করার জন্য বিসিএসআইআর’র জিনোমিক রিসার্চ গবেষণাগারের বিজ্ঞানীদের নমুনা সরবরাহ করেছে বাংলাদেশের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার।
সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পর বিশ্বব্যাপী ইনফ্লুয়েঞ্জা তথ্য সরবরাহকারী জার্মানিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জিআইএসএআইডিতেও তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সেই তথ্য তাদের ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হতে যাচ্ছে বলে জানান সেলিম খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।