পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুই মাস থেকে রাজধানীর সব দোকান বন্ধ। ফুটপাতের হকার থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঘরে বসে রয়েছেন। পুঁজি শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এখন ধারদেনা করে সংসার চালাচ্ছেন। এখন লডডাউন সীমিত হয়ে আসায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আশায় বুক বাঁধছেন; তাদেরও ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া হবে। তাদের বক্তব্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ফুটপাতে দোকান খুলতে দেয়া হলে তারাই দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে পারবেন।
চায়ের দোকান করেন মো. জহির। শনিরআখড়ায় তার দোকানের ছিল প্রচুর বেচাকেনা। কিন্তু করোনা সংক্রমণ এড়তে সরকার দোকান বন্ধ করে দেয়। তিনি চলে যান গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। এখন তিনি আশায় বুক বেধে রয়েছেন সবকিছু খুলে দেয়ার পর তার দোকান খুলে দেবে। পল্টন মোড় সিপিবি অফিস তথা মনিসিংহ- মোহাম্মদ ফরহাদ ট্রাস্টের নীচে ফুটপাতে দোকান করেন উত্তম কুমার। আগে বইয়ের দোকান করলেও কয়েকবছর ধরে চাইনিজ আকুপাংচারের সরঞ্জাম বেচাকেনা করেন। জানালেন, দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ থাকায় প্রচুর ধারদেনা হয়েছে। এখন দোকান খুলতে দেয়া হলে ভাল, না হলে চরম বিপর্যয় নেমে আসবে সংসারে।
উত্তম কুমার আর মো. জহির নয়, তাদের মতো হাজার হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাজধানী ঢাকার ফুটপাতে ব্যবসা করেন। করোনার কারণে তারা দুই মাস ধরে ঘরে বসে রয়েছেন। বিনিয়োগের টাকা দিয়ে পণ্য কিনে ঘরে ফেলে রেখেছেন।
রাজধানীর বেশ কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনার মধ্যেই সরকার সবকিছু সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়ায় আশায় বুক বাঁধছেন। তারা বলছেন, সবকিছু বন্ধের কারণে ব্যবসায়ীসহ দেশের অর্থনীতি ক্ষতি হচ্ছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে। ফলে সবকিছু বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দীর্ঘায়িত না করে সব খুলে দেওয়া হোক।
তবে সক্ষম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকে এখনো দোকান খুলে ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। তারা করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমে গেলে ব্যবসা আবারও শুরু করতে চান। মতিঝিলের চায়ের দোকানদার মোস্তফা বলেন, সবকিছু বন্ধ। তারপরও অনেকে বের হয়। এতে প্রতিদিন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দোকান চালু হলে আমাদের মধ্যেও সংক্রমণের ঝুঁকি আছে। তাই আপাতত দোকান খুলবো না বলে ভাবছি। তবে যারা কর্মচারী দিয়ে দোকান পরিচালনা করেন তাদের দোকান খুলতেই হবে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।