Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাসার ছাঁদে ফলজ ও সবজি বাগান করে সফল রাজাবাড়ী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ দম্পতি

মোঃ হায়দার আলী, গোদাগাড়ী (রাজশাহী) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২০, ৮:০৫ পিএম

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। শিক্ষকেরা মানুষ গড়ার কারিগর শুধু নয় তারা যে কাজ মনযোগ দিয়ে করেন সে কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারেন। আর করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় বেশ সুবিধা পেয়েছেন বাগান থেকে। বাজার না করে নিজের বাগানের সবজি, ফল দিয়ে দিব্বি পার করে দিয়েছেন লকডাউনকালিন সময়। অন্যদের সাহায্য করতে পরেছেন বলে তারা জানান।

এমনি প্রমান করতে পেরেছেন এক অধ্যক্ষ দাম্পতি মো: সেলীম রেজা ও লাইলা পারভীন। সেলীম রেজা রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আর তার স্ত্রী দায়িত্ব পালন করছেন রাজশাহী শহরের গুলজারবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে।

তারা ২০০৫ ইং সাল থেকে রাজশাহীর পূর্বরাইপড়া এলাকায় তাদের ভবনের দু তলার ছাদে ফলজ ও সবজি বাগান করে বেশ সাফল্য অর্জন করেছেন। তাদের দেখা দেখি অনেকে ছাঁদে ফলজ, সবজি করার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। যে আসে সেলীম রেজা ও লাইলার নিকট তাকেই এক কাজটি করার জন্য সুপরামর্শ প্রদান করে থাকেন।

তাদের বাগানে পিয়ারা, আঙ্গুর, বেদানা, ডালিম, লেবু, আমড়া, থাই বাতাবী লেবু,কমলা লেবু, থাই পিয়ারা, জামরুল, মালটাসহ নানা ধরনের ফলজ গাছ রয়েছে। অনেক গাছে লোভনীয় রসালো ফল ধরে আছে। অন্য দিকে সবজি বাগানে লাল শাক, পুই শাক, কুমড়া শাক, বিভিন্ন ধরণের মরিচ, বেগুন, ধনে পাতা, লাউ, গড় আলু প্রভূতি।কিছু টবে ফুলও রয়েছে জবা, বেলী, গাঁদা, বিভিন্ন ধরণের গোলাপ, পাতা বাহার, ডালিয়া, রজনী গন্ধা, পাম্প ট্রি প্রভূতি ফুল তার ছাদে শোভা পাচ্ছে। তারা আর্ডার দিয়ে ছোট বড় অনেক টব নির্মান করেছে ওই সব টবে উর্বর জাতের মাটি সংগ্রহ করে এই সব ফলজ, সবজি, ফুল গাছ লাগিয়েছেন।

এ ধরণের উদ্যোগের ফলে তারা যেমন বিষ মুক্ত, টাটকা ফল ও সবজি পাচ্ছে, অন্যদের সাহায্য করতে পারছে, কিছু বিক্রি করতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। সে সাথে পরিবারের সদস্যরা ওই সব গাছ, ফুল, সবজি বাগানে নিয়মিত কাজ করে একদিকে যেমন আনন্দ পাচ্ছেন তেমনী অন্য দিকে কাজ করার কারণে তাদের অসুখ কম হচ্ছে। কলেজ স্কুল করে আপনারা এত সময় পান কিভাবে এমন প্রশ্ন করা হলে অধ্যক্ষ সেলীম রেজা বলেন, দেখুন সাংবাদিক ভাই ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। মানুষ অভ্যাসের দাস।

প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে এমন কি রাত্রে ১ থেকে ২ ঘন্টা আমরা কাজ করে থাকি। ভাল কিছু পেতে হলে এ ধরণের পরিশ্রম তো করতে হবেই। আমাদের গাছটিতে যে মরিচ ধরে আছে এটা একটা ব্যতিক্রমধর্মী মরিচ। যে দিন থেকে গাছে মরিচ ধরা শুরু করেছে সে দিন থেকে আমরা বাজার থেকে কাঁচা মরিচ কিনি নাই। মরিচটি সুগন্ধযুক্ত, অত্যাধিক ঝাল, তরকারিতে ২/৩টি মরিচ দিলেই যথেষ্ঠ।

তিনি আরও বলেন, আমার ছাদ থেকে ১৫ টি ফুল গাছ ও ১০ ফলজ গাছ নিয়ে গিয়ে কলেজে ফলজ ও ফুল বাগান করা হয়েছে। কলেজের অনেক শোভা বর্ধন করছে। লাইলা পারভীন বলেন, এই যে আঙ্গর গাছ দেখছেন আঙ্গরগুলি সুস্বাদু ও মিষ্টি। নীচ তলায় মাটিতে গাছটি লাগা আছে, আর দু তলার ছাঁদে মাচান করে দিয়েছি তাই এতগুলি বড় বড় প্রচুর আঙ্গুর ধরেছে। এখানে ট্যাপ সিষ্টেম পানির ব্যবস্থা করা আছে যখন পানির প্রয়োজন হয় তখন পানে দেয়া যায়। কোন অসুবিধা হয় না। আঙ্গুরে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পর আতত্নীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের দেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ