Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মঠবাড়িয়ায় ভাই ও চাচার বিরুদ্ধে ৪ একর সম্পত্তি দখল চেষ্টার অভিযোগ থানায় জিডি

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২০, ৭:২২ পিএম

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার চরকখালী গ্রামের নূরুল হক খান তার আপন ভাই নূরুল ইসলাম ও চাচা আজিজ খানের বিরুদ্ধে তার ৪ একর সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে নেয়ার অভিযোগ করেছেন। জমি দখলের জন্য তারা নূরুল হক খানকে প্রতিনিয়ত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শণসহ একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি হয়রানি বরছেন বলে অবিযোগ করেছেন। এলাকায় সমাজ সেবক হিসেবে পরিচিত নূরুল হক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য, আইন-আদালতের দ্বারস্থ হয়েও কোন সুরহা না পেয়ে চরম হতাশার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।

লিখিত অভিযোগে নূরুল হক খান নূরুল হক খান জানান, উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের চরকখালী গ্রামের মৃত হাজী আঃ রশিদ খানের ছেলে স্থানীয় হক বাজারের প্রতিষ্ঠাতা নূরুল হক তার ক্রয় সূত্রে ৪ একর সম্পত্তি দীর্ঘ দিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। নূরুল হকের চাচা আজিজ খান ও ভাই নূরুল ইসলাম সন্ত্রাসী দিয়ে জোর পূর্বক ওই সম্পত্তি দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

নূরুল হক আরও জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য, আইন-আদালতের দ্বারস্থ হলে তারা বিভিন্ন সময় শালিস বৈঠকে মিমাংসা ও রোয়দাত করে দেয়। সেগুলো হলো সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বাদশা ১৩-০৩-১৩, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান ১৮-০২-১৫, ০২-১১-১৮, ২৯-০৮-১৮, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ ০৪-০৯-১৯, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন আকন ২৯-০৯-১৯, ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ১৫-১১-১৯ ইং তারিখ মিমাংসা করে দেন কিন্তু নূরুল ইসলাম ও আজিজ খান কোন সিদ্ধান্ত মানেনি। অবশেষে নূরুল হক গত ১১-১২-১৯ ইং তারিখ সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজির নিকট আজিজ খান ও নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে সাংসদ বিষয়টি মঠবাড়িয়া থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। মঠবাড়িয়া থানার ওসি স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ফেরদৌস রুম্মানকে সালিশ প্রধান নিযুক্ত করে মিমাংসার নির্দেশ দেন। এসএম ফেরদৌস রুম্মান উভয় গ্রুপের ৩ জন করে মোট ৬ জন শালিসদারের সমন্বয় গত ২৪-০৪-২০২০ ইং তারিখ রোয়দাত দেন। সে অনুয়ায়ী নূরুল হক গত ১২-০৫-২০২০ ইং তারিখ সকালে ওই জমিতে গেলে নূরুল ইসলাম ও আজিজ খান প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে সরেজমিনে পুলিশ নিয়ে নূরুল হককে জমি থেকে উঠে যেতে বলে ও ১৫-০৫-২০২০ তারিখ মিমাংসা করে দিবে বলে জানান। পুলিশের এমন আশ^াসে নূরুল হক জমি থেকে উঠে যায়। কিন্ত ১৪-০৫-২০২০ তারিখ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এব্যপারে নূরুল হক গত ১৫-০৫-২০২০ ইং তারিখ মঠবাড়িয়া থানায় সাধারণ ডায়রী করেন।

নূরুল হক আরও জানান, অদৃশ্য শক্তির দাপটে নূরুল ইসলাম ও আজিজ খান কোন শালিস-বৈঠক, আইন-আদালতের তোয়াক্কা না করে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ওই সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে ও একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অপর দিকে নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য মিথ্যা ও উদ্দেশ্য মূলক সংবাদ প্রকাশ করিয়ে বিভ্রান্তির সৃস্টি করছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার প্রার্থনা করছি।

এ ব্যপারে জানার জন্য অভিযুক্ত আঃ আজিজ খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তার ফোন টি বন্ধ পাওয়া যায়।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। জমি সংক্রান্ত বিরোধটি মিমাংসার চেষ্টা করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ