পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৈশ্বিক করোনা সংক্রমণ পাদুর্ভাবে স্বাস্থ্য সঙ্কটের পাশাপাশি চাকরি প্রত্যাশি বেকারদের সর্বনাশ ডেকে আসছে। একদিকে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে অন্যদিকে চাকরির সুযোগ কমে যাচ্ছে। নিয়োগদাতারা এখন নতুন কর্মীর সন্ধান তেমন একটা করছেন না। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিপি) করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের চাকরি খোঁজার পোর্টালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে এ চিত্র উঠে এসেছে।
গতকাল ‘কোভিড-১৯ ইমপ্যাক্ট অন জবপোস্টিংস: রিয়েল টাইম অ্যাসেসমেন্ট ইউজিং বাংলাদেশ অ্যান্ড শ্রীলঙ্কা অনলাইন জব পোর্টালস’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত এপ্রিল মাসে এই অনলাইন পোর্টালে আগের বছরের এপ্রিলের তুলনায় ৮৭ শতাংশ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কমেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বৃহত্তম অনলাইন জব পোর্টাল বিডিজবসের তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে। আর শ্রীলঙ্কার টপজবসডটএলকে-এর তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার এই পোর্টালে গত এপ্রিল মাসে অনলাইনে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কমেছে ৭০ শতাংশ।
এডিবি বলছে, বাংলাদেশের অনলাইন জবপোর্টালের নেতৃত্ব দেয়া বিডিজবসে ২০১৯ সালে ৬০ হাজারের বেশি চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। পোর্টালটির ভিজিটর সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে দুই লাখ। এডিবির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কমতে থাকে। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সংখ্যা তেমন একটা কমেনি। ফেব্রুয়ারি মাসে অবশ্য কিছুটা কমেছে। গত এপ্রিল মাসে আগের বছরের এপ্রিলের তুলনায় ৮৭ শতাংশ কম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এসেছে। আর মার্চ মাসে তা ছিল ৩৫ শতাংশ। কোন খাতে কত শতাংশ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থাকে, এর চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে এডিবির ওই প্রতিবেদনে। এডিবি বলছে, বিডিজবসে যত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়, তার মধ্যে ১৫ শতাংশ করে বস্ত্রখাত এবং বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) চাকরি সংক্রান্ত। এছাড়া উৎপাদন খাতের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থাকে ১৩ শতাংশ। করোনার কারণে কোন খাতে কত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কমেছে, সেটাও দেখিয়েছে এডিবি। এডিবি বলছে, গত এপ্রিলে মাসে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় বস্ত্রখাতে ৯৫ শতাংশ চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেয়া কমেছে। উৎপাদন খাতে এই কমার প্রবণতা ৯২ শতাংশ। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য রফতানিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, এই শঙ্কায় এসব খাতে নতুন নিয়োগ দেয়ার চিন্তা কমেছে। একইভাবে স্বাস্থ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কমেছে যথাক্রমে ৮২ ও ৮১ শতাংশ। তবে এনজিও খাতে নতুন লোকের সন্ধান কমেছে ৬৪ শতাংশ। এডিবি মনে করে, করোনার কারণে নানা ধরনের সহযোগিতা কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় এনজিও খাতে অন্য খাতের মতো জোরালো প্রভাব পড়েনি। এডিবি বলছে, অনলাইনে চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে গত মার্চ মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৩ শতাংশ এবং এপ্রিলে ১৯ শতাংশ কমেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।