Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাল থেকে চলবে বাস ট্রেন ও লঞ্চ

চলছে প্রস্তুতি : স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে মালিকপক্ষই সন্দিহান

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামীকাল রোববার থেকে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল শুরু হবে। তবে এসব পরিবহন পরিচালনার ক্ষেত্রে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা রয়েছে। এ অবস্থায় পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারা সরকারের নির্দেশনা মেনেই গণপরিবহন পরিচালনা করবেন। যদিও সার্বিক পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা তা কতটা মানবে তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।

তবে স্বাস্থ্যবিধিতে একটির পর একটি আসন ফাঁকা রাখার নির্দেশনা থাকায় ভাড়া বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন বাস ও লঞ্চ মালিকরা। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যেহেতু একটি বাদ রেখে অপর আসন বিক্রির নির্দেশনা রয়েছে সে হিসেবে যাত্রী সংখ্যা অর্ধেকের চেয়েও কম হবে। সে কারণে ভাড়া পুনঃনির্ধারণের দাবি করেছেন পরিবহন মালিকরা। তারা বলেছেন, যাত্রী অর্ধেকে নেমে যাবে তাই ভাড়াও দ্বিগুণ করতে হবে।

এ বিষয়ে আজ বিআরটিএর সঙ্গে বাস মালিক ও বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে লঞ্চ মালিকদের বৈঠক হবে। সেখানে ভাড়াসহ সার্বিক বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, সরকারি নির্দেশনা দেশের সাধারণ মানুষ ও পরিবহনের চালক-হেলপার এবং মালিকরা কতটা পালন করতে পারবে সে বিষয়টি নিয়ে আমাদের শঙ্কা রয়েছে। এরপরেও আমরা কঠোরভাবে বিষয়টি পালন করার চেষ্টা করবো।
এদিকে আগামীকাল রোববার থেকে অল্প সংখ্যক ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। প্রস্তুতি হিসাবে কমলাপুর স্টেশনে ধোয়া মোছার পাশাপাশি তিন ফুট দূরত্বে বৃত্তাকার চিহ্ন আঁকা হচ্ছে। যাত্রীরা ওই বৃত্তে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটবেন অথবা ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করবেন। ক্যারেজে রাখা ট্রেনের বগিগুলোও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে।

ট্রেন চালানোর জন্য এরই মধ্যে একটি রোড ম্যাপও তৈরি করা হয়েছে। এসব ট্রেনে একটি করে সিট ফাঁকা রেখে টিকিট বিক্রি করা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সংখ্যা কমিয়ে দুটি গ্রুপে ভাগ করে ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে প্রথম ‘ক’ গ্রুপে রাখা ট্রেনগুলো কাল রোববার থেকে পরিচালনা করা হবে। এই ট্রেনগুলো হচ্ছে- ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, ঢাকা সিলেট রুটে কালনী এক্সপ্রেস, ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-রাজশাহী রুটে বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে উদয়ন/পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং ঢাকা খুলনা রুটে চিত্রা এক্সপ্রেস।

আর ‘খ’ গ্রুপে রাখা ট্রেনগুলো আগামী বুধবার থেকে পরিচালনা করতে সুপারিশ করা হয়েছে। এই ট্রেনগুলো হচ্ছে- ঢাকা দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি রুটে রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী রুটে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোয়ালন্দ ঘাট রুটে মধুমতী এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস। তবে ট্রেনে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে এখনো কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

অপরদিকে, একই নিয়ম অনুসরণ করে পরিচালিত হবে লঞ্চ। এজন্য দেশের বড়বড় লঞ্চগুলোর প্রবেশ পথে এরই মধ্যে জীবাণুনাশক টানেল স্থাপন করা হয়েছে। তবে ভাড়া বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে কাল থেকে স্বল্পসংখ্যক যাত্রী নিয়ে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাই লঞ্চও চলবে। তবে শর্ত পরিপালনের বিষয়সহ নানাদিক দিয়ে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান। এই সময়ে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ