Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাজ্যে করোনা সংক্রমণ ১ শতাংশেরও কম

দ্য সান | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

যুক্তরাজ্যে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস পেয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা তথা রিপ্রডাকশন রেট বা আর রেট। দেশটির মহামারী সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, মহামারীর প্রসারণ সঙ্কুচিত হতে শুরু করেছে এবং করোনাভাইরাসের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক আর রেট শেষ পর্যন্ত ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভাল্যান্স গেল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন যে, ভাইরাসের প্রজনন বা সংক্রমণ সংখ্যা বর্তমানে যুক্তরাজ্য জুড়ে ০.৭ থেকে ০.৯ শতাংশের মধ্যে অবস্থান করছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে দিয়েছেন যে, বেশ কয়েকটি জায়গায় আর রেট ১ শতাংশের খুব কাছাকাছি হয়ে থাকতে পারে যার অর্থ ঢালাওভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো খুব বেশি সুযোগ নেই।
ভাল্যান্স বলেছেন, ‘আমরা একটি সংবেনশীল পর্যায়ে রয়েছি। আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। সবকিছু সুন্দর হয়ে উঠবে এমনটি বলার সময় এটি নয়। তিনি বলেন, ‘এখন ভীষণ সতর্কভাবে পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার সময়, খুব সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করেছি এবং স্থানীয় পর্যায়ে সংক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ এটি ঘটবে এবং স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি’।

এদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, সোমবার থেকে সর্বোচ্চ ৬ জন ব্যক্তিগত বাগানগুলিতে পরস্পরের থেকে ২ মিটার দূরত্বে জমায়েত হতে পারেন, অবশ্য যদি বিভিন্ন পরিবারের সদস্যরা সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলি যথাযথভাবে মেনে চলতে থাকেন তাহলে।
দেশটির নতুন পরিসংখ্যান বলছে, ইংল্যান্ডের স্থানীয় লোকালয়গুলোতে করোনাক্রান্তের গড় সংখ্যা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। তবে, অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাড়ির বাইরে কাজ করা লোকদের মধ্যে সংক্রমণের হার বাড়িতে থেকে কাজ করাদের চেয়ে ৩ গুণ বেশি।

এর আগে, যুক্তরাজ্যের করোনা প্রাদুর্ভাবের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ধারণা করা হয়েছিল যে, সংক্রমণের মাত্রা ৩ শতাংশে পৌঁছে যাবে। সংক্রমণের শীর্ষ পর্যায় থেকে নামতে এবং বিস্তার দমন করতে দেশটিকে অবরুদ্ধ করে দেয়া হয়। সেখানে এখন পর্যন্ত এই মহামারীতে ৩৬ হাজারেরো বেশি লোকের মৃত্যু ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার দেশটিতে ৩শ’ ৬১টি করোনা সংক্রান্ত মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছে, যা গত ২৬ মার্চের থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বনিম্ন সংখ্যা। তবে আর রেট স্থিতিশীল থাকায় যুক্তরাজ্য একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে প্রবেশ করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ১৩ মে বরিস জনসন প্রথমবারের মতো নিষেধাজ্ঞাগুলি শিথিল করে দেন। তবে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, আর এর হার বাড়তে থাকলে আবারো কঠোর ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে হবে। যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের বর্তমানে সংক্রমণ ও মৃত্যু হারকে কমিয়ে রাখা এবং নিশ্চিভাবে দেশটির অর্থনৈতিক ধস ঠেকানোর মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ বজায় রাখতে হচ্ছে।

এ প্রেক্ষিতে বাড়িতে থেকে কাজ না করতে পারলে লোকদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে উৎসাহিত করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী এ মাসের শুরুতে লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা কঠোর নিয়মনীতি মেনে ছোটখাটো সংস্কার চালান। এতে করে মানুষ এখন বাইরে পার্কে নিরাপদ দূরত্বে অন্য পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাত করার স্বাধীনতা লাভ করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ