বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের বাইছারা (লৈয়ামেহের) গ্রামে কোরআনে হাফেজ এনামুল হক (২২)কে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও পানিতে চুবিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে ওই গ্রামের হাজী মুজিবুর রহমানের ছেলে।
শুক্রবার সকালে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহত ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী তার চাচাতো ভাই মাওলান মোঃ নোমান শিকারী জানান, ২৯ মে শুক্রবার সকালে তারা বাইছারা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় বাড়ির সামনে ব্রিজের কাছে পৌঁছলে পূর্বে ওঁৎ পেতে থাকা একই এলাকার হোসেন শিকারী, আলম মিয়া, শরীফ দেলোয়ার, সাইফুল ইসলাম, ভুলু মিয়া ও একই এলাকার রাসেল, দুলাল, মাসুদ, মাসুম, জহির, বাতেন, নুরু, কাউছার, মনিরসহ ১৫/২০জন ব্যক্তি হাফেজ এনামুল হকের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা করে মাথা ও শরীরে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এ সময় তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা অবনতি দেখে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে নেওয়ার পথেই সে মারা যায়।
নিহতের চাচী ঝর্না বেগম জানান, হামলাকারী দুদু মিয়ার ছেলেদের সাথে হাজী মজিবুর রহমান গংদের জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা চলছে। ৬ মাস পূর্বে হাফেজ এনামুল হক বিয়ে করেন।
প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে জমি দখল ও এলাকায় প্রভাব বিস্তার খাটিয়ে সাধারন মানুষকে হয়রানি ও নির্যাতন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ বহু অভিযোগ রয়েছে।
নিহত হাফেজ এনামুল হক এলাকায় একজন বিনয়ী, ভদ্র হাফেজ হিসেবে পরিচিত ছিলো। তার স্ত্রী ৪ মাসের অন্তসত্তা বলে এলাকাবাসী জানান। নিহতের স্ত্রী তার স্বামীর হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার পর হামলারকারীরা এলাকা ছেড়ে গাঢাকা দিয়েছে। পাশাপাশি হামলাকারী দুদু মিয়ার ছেলে ও অন্যান্য ভাড়াটিয়া হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
কচুয়া থানার ওসি ওয়ালী উল্যাহ অলি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষরা নিহতের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে খবর পেয়ে কচুয়া থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।