Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নীলফামারীতে দুই জঙ্গিসহ গ্রেফতার ১৩

প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : নীলফামারী গোয়েন্দা পুলিশ হত্যা মিশনের সাথে জড়িত এমন দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার রাতে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার হয়েছে। একরামুলকে খানসামার কাজীরহাট বাজার হতে ও নুর মোহাম্মদ আরেফিনকে দেবীগঞ্জ বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ছাতিয়াগড় গ্রামের মৃত ইছাহাক আলীর ছেলে একরামুল হক (৫০) ও পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার খুটামারা গ্রামের মৃত নুর আলম প্রধানের ছেলে নুর মোহাম্মদ আরেফিন (২৭)।
গ্রেফতারকৃতদের আজ রোববার বিকালে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য নীলফামারী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, গত বছর ২৩ অক্টোবর রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে আশুরা উপলক্ষে প্রতীকী কারবালার তাজির মিছিলে বোমা হামলার চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। এরপর একই বছরের ১২ নভেম্বর নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় হাতিখানা স্মরণীয় কারবালার খোলা মাঠে মাগরিবের সময় একাই নামাজ আদায় করছিল খাদেম হাসনাইন মাষ্টার (৬০)। নামাজের সিজদার সময় ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। আশংকাজনক অবস্থায় এলাকাবাসী ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে প্রথমে সৈয়দপুর হাসপাতালে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। আহত ওই খাদেম সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট রেলওয়ে কলোনি এলাকার মৃত গোলাম রসূলের ছেলে। দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি বেঁচে যান। ওই ঘটনার সাথে গ্রেফতারকৃত এই জঙ্গি সদস্যদের যোগসূত্র রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় মামলা হয়। মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্ত করছিল। তদন্তে ঘটনাটি জঙ্গিদের দাঁড়া সংগঠিত হয়েছিল বলে বেরিয়ে আসে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় সন্ত্রাস দমন ধারায় আরো একটি মামলা দায়ের করেছে সৈয়দপুর থানার এসআই নজরুল ইসলাম। নীলফামারী গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি বাবুল আক্তার দুই জঙ্গিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অপরদিকে নীলফামারীতে পুলিশি অভিযানে এক জামায়াত কর্মী সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার দুপুর হতে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জামায়াত কর্মী হলো, জেলার জলঢাকা উপজেলার কাঁঠালি গ্রামের মণ্ডল মাহমুদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩৮)। নীলফামারী পুলিশের কন্ট্রোল রুম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসাইন সাংবাদিকদের জানান, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ