Inqilab Logo

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কুষ্টিয়ার খোকসায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী থানায়

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২০, ৮:৫৪ পিএম

কুষ্টিয়ার খোকসায় শাশুড়ির সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে স্বামীর বাড়িতে রহস্যজনকভাবে মারা যাওয়া গৃহবধূর লাশ ফেলে পালিয়ে গেলো পরিবারের সবাই।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে এক সন্তনের জননী সাথি খাতুনের রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়। সে খোকসা উপজেলার পূর্ব বেতবাড়িয়া গ্রামের কাদের আলীর ছেলে জাহিদ এর দ্বিতীয় স্ত্রী। ঘরের বারান্দায় গৃহবধূর মৃতদেহ ও উঠানে তার দুই বছরের কন্যাকে ফেলে শাশুড়ি ও অন্যরা পালিয়ে যায়।

নিহতের বাবার বাড়ি উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে। শাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গৃহবধূ আত্মহত্যা করতে পারে। আবার পিটিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজানো হতে পারে বলে সন্দেহ করছে নিহতের বাবার পরিবার।

স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালে শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিকালে নিজেদের একটি ঘরের টিনের বেড়া কেটে মৃত গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। এর পর থেকে গৃহবধূর স্বামীর পরিবারের লোকেরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।নিহত গৃহবধূর ভাই স্বপন জানান, বিয়ের পর পান থেকে চুন খসলেই সাথির উপর শাশুড়ি ও স্বামী শারীরিক নির্যাতন চালাতো। অনেকবার বসাবসি হয়েছে। যৌতুকও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাথির উপর নির্যাতন কমেনি। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে মোবাইল ফোনে তাকে জানানো হয় সাথি গলায় ফাঁস নিয়েছে। তারা এসে বাড়িতে কাউকে পায়নি। দুই বছরের ভাগ্নিকে পেয়েছে উঠানে। আর বোনের মৃতদেহ পেয়েছে ঘরের বারান্দায়। তার বোনের সমস্ত শরীরে আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে বলেও সে দাবি করে।নিহতের স্বামী জাহিদ জানায়, স্ত্রী সাথি খাতুনের সাথে তার মা (শাশুড়ি) সুখজানের কথা কাঠাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ চরমে পৌঁছে। স্বামী শাশুড়ি ও অন্যদের উপস্থিতিতে গৃহবধূ নিজের ঘরে দরজা দেয়। বিকাল ৪ টার দিকে ঘরের আড়া থেকে সাথির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

খোকসা থানার ওসি (তদন্ত) ইদ্রিস আলী জানান, নিহত গৃহবধূর পরিবার ইতোমধ্যে আত্মহতার প্ররোচনার অভিযোগ দিয়েছে। মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী জাহিদকে থানায় আনা হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ