বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রংপুর জেলা সংবাদদাতা : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার গভীর রাতে দুটি আবাসিক হলের রুমে রুমে ঢুকে ঘুমন্ত ছাত্রদল নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্রদের রড, হকিস্টিক, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতারা।
শুধু তাই নয়, একজন সাধারণ ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে তাকে শিবির বানিয়ে পুলিশেও দিয়েছে তারা। এ ঘটনায় সেখানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী, পুলিশ ও ছাত্রদল সূত্র জানায়, শনিবার রাত ১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান শিশির, সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী রাজ সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন জয়ের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী ক্যাম্পাসের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ মুখতার এলাহী হলে রড, হকিস্টিক, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
এসময় তারা চিৎকার করে বলতে থাকে, ছাত্রদলের এতো সাহস তারা তারেক রহমানের পক্ষে মিছিল করে। ওদের হলে থাকার অধিকার নেই।
এসময় তারা রুমে রুমে ঢুকে ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় আহবায়ক কমিটির সদস্য আলআমীন, শাহীন, রসায়ন বিভাগের সবাপতি কামরুল ইসলাম, শুভ, রাশেদ, মুন্না, হাসান, আসিফসহ প্রায় ২০ জন ঘুমন্ত সাধারণ ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে রুম থেকে বের করে দেয়। কিছু বুঝে না ওঠার আগেই ঘুমন্ত শরীরে ছাত্রলীগের রড, হকিস্টিক, লাঠি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চিৎকার করে ওঠে তারা। দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকে হল থেকে। তাদের চিৎকারে দুটি হলের সব ছাত্র জেগে উঠে।
এরই মধ্যে ছাত্রলীগ নেতারা পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র শাফিউর রহমানের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতে থাকে। মারতে মারতে এক পর্যায়ে তাকে বলতে বাধ্য করে সে শিবির করে। এরপর তারা শাফিউর রহমানকে ক্যাম্পাস পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করে। সকালে সেখান থেকে তাকে কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে আহত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কামরুল ইসলাম ও শুভর অবস্থা গুরুতর।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকালে ছাত্রদল নেতার মুরসালিন মুন্নার নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের বাইরে তারেক রহমানের সাজার প্রতিবাদে কামারের মোড় থেকে পার্কের মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ করে হলে অবস্থানরত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এরই জেরে তাদের হল থেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে বের করে দেয়া হয় শনিবার রাতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।