Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে মা কুমির ‘জুলিয়েট’ এবার ৫২টি ডিম পেড়েছে

সুন্দরবনের করমজল থেকে ফিরে মনিরুল ইসলাম দুলু | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২০, ৩:৩৩ পিএম

দেশের এক মাত্র সরকারী কুমির প্রজনন কের্ন্দের মা কুমির ‘জুলিয়েট’ এবার ৫২টি ডিম দিয়েছে। শুক্রবার সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে কুমিরটি এ ডিম দেয়। আগামি ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে এ ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার কথা রয়েছে। বর্তমানে ডিমগুলো কেন্দ্রের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে সঠিক তাপ ও আর্দ্রতা, পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও আলোর ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। বাচ্চা ফোটানোর জন্য ১৪টি ডিম কুমিরটির নিজস্ব বাসা, ২৬টি ডিম কেন্দ্রের পুরাতন ইনকিউবেটরে ও ১২ টি নতুন ইনকিউবেটরে রাখা হবে।

বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির নোনা পানির কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও তা সংরক্ষণে ২০০২ সালে পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটনকেন্দ্রে বন বিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় দেশের একমাত্র সরকারি এ কুমির প্রজননকেন্দ্র। বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন প্রকল্পের আওতায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয় কেন্দ্রটি।

শুরুতেই জেলেদের জালে ধরা পড়া ছোট-বড় পাঁচটি কুমির দিয়ে কেন্দ্রে প্রজনন কার্যক্রম শুরু হয়। এই কেন্দ্র থেকে ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, পটুয়াখালী বন বিভাগ ও সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে ৯৭টি কুমির অবমুক্ত করা হয়।

প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার মোঃ আজাদ কবির জানান, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রে রয়েছে দেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্র।এখানে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ১৯৫টি বাচ্চা কুমির রয়েছে। এর মধ্যে বড় কুমির রয়েছে ৬টি। কেন্দ্রের পুকুরে প্রজননের জন্য দুটি স্ত্রী ও একটি পুরুষ কুমির রয়েছে। বাকী কুমিরগুলো কেন্দ্রের প্যানে রেখে লালন পালন করা হচ্ছে। বংশ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিলুপ্ত প্রায় নোনা পানির এ কুমিরগুলোকে পরবর্তিতে বনের অভ্যন্তরের বিভিন্ন নদ নদীতে ছেড়ে দেয়া হবে বলে ।

সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে তিন প্রজাতির কুমিরের অস্তিত্ব ছিল। লবণ পানির কুমির, মিঠা পানির কুমির ও গঙ্গোত্রীয় কুমির বা ঘড়িয়াল। এর মধ্যে মিঠা পানির কুমির ও ঘড়িয়ালের বিলুপ্তি ঘটেছে। এখন শুধু লবণ পানির কুমিরের অস্তিত্বই আছে। এরা সাধারণত ৬০-৬৫ বছর পর্যন্ত ডিম দিতে পারে। আর ৮০-১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।’

আগামি ১৫ দিনের মধ্যে অপর মা কুমির “পিলপিল” এর ডিম পাড়ার কথা রয়েছে। প্রতি বছর প্রজনন মৌশুম মে ও জুন মাসে এ কুমির দু’টি ডিম পাড়ে। গত বছর মা কুমির জুলিয়েট ও পিলপিল ডিম দিলেও তা থেকে কোন বাচ্চা ফোটানো সম্ভব হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ