Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাঁচামালে শিল্প গতিশীল

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২০, ১২:১৪ এএম

চট্টগ্রাম বন্দরে রফতানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল আমদানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাঁচামালের জোগান বাড়ার সাথেই করোনাকারণে বিপর্যয় মোকাবিলা করে চলা শিল্প-কারখানায় উৎপাদন কমবেশি গতিশীল হচ্ছে। সচল হচ্ছে বিভিন্ন খাতের স্থানীয় শিল্প-কারখানার চাকা। করোনা সঙ্কট কাটাতে না কাটাতেই চীন বিভিন্ন বন্দর দিয়ে কন্টেইনার ভর্তি জাহাজবহরে একের পর পাঠাচ্ছে গার্মেন্ট এবং বিভিন্ন শিল্প-কারখানার কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, খুচরা যন্ত্রাংশ, নিত্যপণ্য।

আনীত শিল্প-কাঁচামাল পরিবহন করা হচ্ছে বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চল, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামের কারখানাগুলোতে। গার্মেন্ট খাতে নতুন ক্রয়াদেশে কারখানা সচলে বন্দরের রয়েছে সহায়ক ভ‚মিকা। বিজিএমইএ’র পোর্ট শিপিং বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পোশাক খাত প্রতিদিনই নিত্যনতুন জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে চলেছে। করোনা সঙ্কটের আগে বাতিল হওয়া রফতানি আদেশ এখন আংশিক ফিরে আসছে অথবা আসার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। আবার ক্রায়াদেশ বাতিলকারী কোন কোন আমদানিকারক ফের ক্রয়াদেশও দিচ্ছেন।
এরফলে কারখানাগুলো চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনে যাচ্ছে। তাছাড়া উৎপাদনে সক্ষমতা সহকারে প্রস্তুত থাকতে হচ্ছে। এর বাইরেও নতুন রফতানি বাজার অনুসন্ধান ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে উৎপাদনে প্রস্তুত থাকার কঠিন চ্যালেঞ্জে আছেন মালিক-শ্রমিকরা। বিশাল কর্মসংস্থানের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্নও এর সঙ্গে জড়িত। চট্টগ্রামে ইতোমধ্যে সাড়ে ৩শ’রও বেশি কারখানা সচল হয়। সক্ষমতার ৫০ থেকে ৭০ ভাগ কাজে লাগানো হচ্ছে।
এদিকে রফতানিমুখী শিল্পের উৎপাদনে প্রধান সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দরের এ মুহূর্তের দৃষ্টি কন্টেইনার ও জাহাজের জট পরিস্থিতি এড়ানো। দেশের মোট আমদানি-রফতানির ৯২ শতাংশ সামাল দেয় চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দর-শিপিং খাতে ঈদের ছুটির রেশ কাটেনি গতকাল পর্যন্ত। এ অবস্থায় আমদানি পণ্য খালাস বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ডেলিভারি পরিবহন কমে গেছে।

সিউিউল অনুযায়ী জাহাজে শিল্প-কাঁচামাল ছাড়াও আসছে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধসামগ্রী, হরেক নিত্য ও ভোগ্যপণ্য। আমদানিকারক, কনসাইনি, ব্যবসায়ীদের ঈদ অবকাশকালে বন্দরের পণ্য খালাসে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।

তা সত্তে¡ও ঈদে বন্দর কার্যক্রম সচলে বিশেষ করে আমদানি পণ্যসামগ্রীর ডেলিভারি পরিবহন স্বাভাবিক রাখতে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট আমদানি-রফতানিকারক, বন্দর ব্যবহারকারীদের পণ্য খালাস ডেলিভারি গ্রহণের জন্য আগেভাগে চিঠি দিয়েছে। এর আগে গত ১৬ মে পর্যন্ত দুই দফায় সময় বাড়িয়ে কন্টেইনারের স্টোর রেন্ট চার্জ শতভাগ মওকুফ ঘোষণা করা হয়।
গতকাল চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক ইনকিলাবকে জানান, বন্দরে জট সমস্যা আপাতত নেই। সবক’টি ইয়ার্ড মিলিয়ে বর্তমানে কন্টেইনার মজুদ রয়েছে ৪৪ হাজার ৯শ’ টিইইউএস। স্বাভাবিক ধারণক্ষমতা ৪৯ হাজার ১৮ টিইইউএস’র নিচে রয়েছে। তাছাড়া আমদানি কন্টেইনারের একটি বড় অংশ এখন মজুদের জন্য চলে যাচ্ছে বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোগুলোতে (অফডক)। এরফলে বন্দরের ওপর জটের চাপ কমেছে।
ঈদের ছুটিতে পণ্য ডেলিভারির জন্য সবরকম প্রস্তুতি বন্দরের রয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, সাধারণত আমদানিকারক, বন্দর ব্যবহারকারী ও সংশ্লিষ্ট অনেকেই এ সময় বিশ্রামে কিংবা গ্রামের বাড়ি চলে যান। তবে শিগগিরই ডেলিভারির হার বেড়ে যাবে। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বিপরীতে মাত্র হাজার খানেক ডেলিভারি হয়েছে বলে জানান তিনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্দর

১৩ জানুয়ারি, ২০২৩
২৪ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ