Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৌলতদিয়া ও কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট : ঢাকামুখী জনস্রোত

আবুল হাসান সোহেল / মো. মোজাম্মেল হক : | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২০, ১২:১৪ এএম

ঈদ উদযাপন শেষে কাজে যোগ দিতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ঘাটে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকামুখী কর্মজীবী মানুষের ঢল নেমেছে। লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।

গতকাল বেলা বাড়ার সাথে সাথে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। পাশাপাশি ছিল ব্যক্তিগত গাড়ির দীর্ঘ লাইন। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, ব্যাটারিচালিত অটো, মোটরসাইকেল ও মাহেন্দ্রযোগে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নদী পার হয়ে ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে যাচ্ছেন। গাদাগাদি করে ফেরিতে ওঠার ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বেড়ে যাচ্ছে।
মাগুরা থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা ছালাম মোল্যা জানান, জীবনের তাগিদে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে পরিবারের সাথে ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছি। আজকে (গতকাল) অফিস খোলা, দেরি হয়ে গেছে তবুও যে ভাবেই হোক হাজিরা দিতে হবে।

বিআইডবিøউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব আলী সরদার জানান, এই নৌরুটে ছোট-বড় ১৪টি ফেরি রয়েছে। ঘাট স্বল্পতার কারণে ছোট-বড় ৮টি ফেরি সচল রয়েছে।

এদিকে, গতকাল বেলা বাড়ার সাথে সাথে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটের ফেরিতে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের প্রচÐ ভীড় দেখা যায়। ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি গাদাগাদি করে যাত্রী পার হচ্ছে। শারীরিক দূরত্ব কেউ মানছে না। নেই পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম। করোনা ঝুঁকি মাথায় নিয়েই মানুষ ছুটছে কর্মস্থলে। ঘাট এলাকায় মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে।
জানা গেছে, সকাল থেকে ১২টি ফেরি দিয়ে সার্ভিস সচল রাখা হয়েছে। ফেরিগুলোতে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, কাঁচামাল ও পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ কিছুটা কম থাকলেও যাত্রীর চাপ বেশি দেখা গেছে। যাত্রী চাপ ঠেকাতে এদিনও মহাসড়কগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত পরিবহন, কাঁচামাল ও পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সকল গণপরিবহন উল্টোপথে ফিরিয়ে দিয়েছে।

কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল আলিম বলেন, গতকাল সকাল থেকে ডাম্প ফেরিসহ ১২টি ফেরি দিয়ে গাড়ি ও যাত্রী পারাপার করছি। বুধবারের চেয়ে গতকাল ঘাটে যাত্রী ও গাড়ির চাপ একটু বেশি ছিল।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, সকাল থেকে ঘাটে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ। ঘাটে যথেষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আমরা স্বস্থ্যবিধি মেনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরিতে গাড়ি ও যাত্রীদের উঠতে সহযোগিতা করছি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ