বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চব্বিশ ঘন্টায় এযাবতকালের সর্বোচ্চ, ২৭ জন করেনা সংক্রমন রোগী সনাক্ত হবার মধ্যে দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতি আরো উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌছল। বরিশাল এখন ‘কোভিড-১৯’এর হট স্পটে পরিনত হয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞগন। ঈদের আগে ঢাকা ও সন্নিহিত এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে আসার পরে প্রতিদিন সংক্রমনের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চল নতুন করে ২৭জন কোভিড-১৯’এ আক্রান্তদের মধ্যে শুধু বরিশালেই ১৩জন। এছাড়া ভোলাতে ১০, ঝালকাঠীতে ৩ এবং পাটুয়াখালীতেও একজন করোনা সংক্রমিত রোগী সনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এনিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে মোট কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৪৩২-এর পৌছল। যার মধ্যে বরিশালেই ১৯৪, পিরোজপুরে ৬৩, বরগুনাতে ৫৪ এবং পটুয়াখালী ও ঝালকাঠীতে ৪৪ করে আর ভোলাতে ৩৩ জন করেনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। গত দশ দিনে বরিশাল ছাড়া পিরোজপুর ও ভোলাতেও করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে শুধুমাত্র বরিশাল মহানগরীতেই আক্রন্তের সংখ্যা প্রায় ১৩৫ বলে জানা গেছে। যারমধ্যে পুলিশ সদস্য সংখ্যা ৫০-এরও বেশী।
দক্ষিণাঞ্চলের সরকারী হাসপাতালগুলোতে এপর্যন্ত ১৪৫ জন কোভিড-১৯ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর মোট সুস্থ্য রোগীর সংখ্যা ১৩২ বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আরো ১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালের আইসোলেশন-অবর্জার্ভেশন ওয়ার্ডগুলোতে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মোট ভর্তিকৃত ৫০৭ জন রোগীর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৮১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ও করেনা ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত ৮ জন রোগীর রক্তের নমুনা পরিক্ষায় ৬জনের কোভিড-১৯ সনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে হাসপাতালটির উল্লেখিত দুটি ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত ১৯৫ রোগীর রক্তের নমুনা পরিক্ষায় ৫২জনের কোভিড-১৯ সনাক্ত হল। আর নেগেটিভ ফল এসেছে ১৪৩ জনের। এপর্যন্ত হাসপাতালটির আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। যার মধ্যে ৩জনের রক্তে করেনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতারের করেনা ওয়াডের্ ভর্তিকৃত ৫২ জনের মধ্যে ২৬জন সুস্থ্য হয়ে ঘরে ফিরেছেন। তবে বৃহস্পতিবার রেকর্ড সংখ্যক ১৮ জন রোগী হাসপাতালটির করেনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে নারায়নগঞ্জ থেকে চোরাই পথে কর্মজীবী ও শ্রমজীবিদের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে প্রথম করেনা সংক্রমন শুরু হয় দেড়মাস আগে। আর ঈদের তিনদিন আগে থেকে ঢাকা ও সন্নিহিত এলাকার দ্বিতীয় জনশ্রোতে দক্ষিণাঞ্চলে করেনা সংক্রমন আরো বড় ঝুকি সৃষ্টি করল। ফলে আগামী দিন পনের দক্ষিণাঞ্চলে করেনা সংক্রমন কোন পর্যায়ে যাবে তা নিয়ে শংকিত চিকিৎসকগনও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।