Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘ছোট’ বন্যার মুখে সিলেট-নেত্রকোনা

ভারতে অতিবৃষ্টিতে উজানের ঢল : নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি : ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় পানি দ্রুত বাড়ছে তবে বিপদসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা নেই

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২০, ৯:০১ পিএম

আকস্মিক ‘ছোট’ বন্যার মুখোমুখি রয়েছে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা এবং নেত্রকোনা জেলা। নদ-নদীর উজানে উত্তর-পূর্ব ভারতে অতিবৃষ্টির কারণে এই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। আজ বুধবার নেত্রকোনায় সারিগোয়াইন নদী সারিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আজ জানায়, ভারতের আসাম অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদের পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এ সময়ের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদে কোথাও বিপদসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা নেই।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ও ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগর থেকে আগত দক্ষিণমুখী ঝড়ো হাওয়া এবং দেশের উপর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনা বা আবহ তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং সংলগ্ন ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যা আগামী ৩০ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা সম্পর্কিত আজ এক বিশেষ প্রতিবেদনে পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, বর্তমানে আসামের বরাক ও মেঘালয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যা চলবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায়ও। এরফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারাসহ প্রধান নদীসমূহের পানির সমতল উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এতে করে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় সারিঘাট, যদুকাটা ও কংস নদীসমূহের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় আসামের বরাক ও ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তিন দিনে সম্ভাব্য বৃষ্টিপাতের পরিমান ২শ’ থেকে ২৫০ মিলিমিটার। এরফলে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার কুশিয়ারা, মনু ও খোয়াই নদীর পানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার কোথাও কোথাও পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্ব ভারতের সিকিম, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরমধ্যে চেরাপুঞ্জিতে ২৪৩ মি.মি. বৃষ্টি হয়। সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ১৪০ থেকে ৯৭ মি.মি. পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়।
গতকাল সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তে দেশের ৯৩টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে পানি বৃদ্ধি পায় ৭১টিতে। হ্রাস পায় ১৯টিতে। পানি অপরিবর্তিত থাকে ২টি স্থানে। আর বিপদসীমা অতিক্রম করেছে সারিগোয়াইন নদী সারিঘাট পয়েন্টে।
আগের দিন মঙ্গলবার পানি বৃদ্ধি পায় ৬১, হ্রাস ২৭টি, অপরিবর্তিত থাকে ৪টি স্থানে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ