বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঘুর্নিঝড় আমফানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত উপকুলীয় এলাকার নদী সংলগ্ন ভেড়িবাধ, বসতঘর, রাস্তাঘাট আর ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ঘেরের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া ও তাদের পুর্নবাসনের আশ্বাস দিলেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ। একই সাথে দ্রুত নদীর পারের ভেড়িবাধ সংস্কারের কথাও বলেন। মঙ্গলবার দুপুরে আম্পানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত উপকুলীয় এলাকার ভাঙ্গন কবলিত কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তারা।
মংলার কাইনমারী, কানাইনগর, চিলাসহ বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্ত ভেড়িবাধ ভাঙ্গন পরিদর্শনের সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান খাঁন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফ হোসেন, মংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মংলার নদী বাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন কালে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ বলেন, ঘুর্নিঝড় আমফানে যাদের ক্ষতি হয়েছে, তাদের পুর্নবাসন ও রাস্তাঘাট মেরামতের ব্যাবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশী নদী ও ভেড়িবাধ ভাঙ্গন রোধে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবন্থা নেয়ারও আশ্বাস্ত দেন। এছাড়াও উপকূলীয় এলাকার মানুষ যাতে আম্পানের মতো সামনের দিনে ঘুর্নিঝড়ে যানমালের ক্ষতির মধ্যে পড়তে না হয় সে জন্য ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
বাগেহোটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান খাঁন জানান, ঘুর্নিঝড় আমফানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ভেড়িবাধ গুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় নির্মান করা হয়নি। তার পরেও আমরা এলাকাটি ঘুরে দেখে গেলাম এবং টেকসই ভেড়িবাধ নির্মান করার জন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তকে অভিহিত করবো । তবে তিনি আক্ষেপন করে বলেন, এই এলাকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় যে কাজ চলছে তা, বাস্থবায়নে বিভিন্ন বাধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এভাবে বাধা পেলে মংলার সরকারের উন্নয়ন মুলক কাজ বাধাগ্রস্থ হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এখানকার জনগন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাহাত মান্নান জানান, গত ২০ মে রাতে প্রলংকারী ঘুর্নঝড় আমফান আঘাতহানে মংলা উপজেলার উপকূলের বেশ কয়েকটি এলাকার। ক্ষতিগ্রস্থ হয় মানুষের বসতঘর, রাস্তাঘাট, আর মৎস্য ঘের। ভাসিয়ে নিয়ে যায় নদী সংলগ্ন বসবাসকারীদের ঘর। একই সাথে নদী পারের ভেড়িবাধ ভেঙ্গে তলিয়ে যায় বেশ কয়েকটি এলাকা। ঘুর্নিঝড় আম্পানের আঘাতে ১২৫টি বসত ঘর সম্পুর্ন বিদ্ধস্ত হয়। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ৫২৫টি বসত ঘর। এছাড়া রাস্তা ভেঙ্গে যায় প্রায় ৬ কিলোমিটার, ১৫শ ৮৫টি মৎস্য ঘের তালিয়ে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয় মৎস্য চাষিরা ।
প্রসঙ্গত,গত ২০ মে ঘুর্নিঝড় আমফানের আঘাতে মংলা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ভেঙ্গে যায় প্রায় ১০ কিলোমিটার নদী সংলগ্ন এলাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।