Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাউফলে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত-১০

বাউফল উপজেলা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২০, ৯:০১ পিএম

তোরণ নির্মানকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহাত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতেদের মধ্যে এক জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আর একজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে পৌরসদরেরর ডাকবাংলোর সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ( রোববার) দুপুর ১টার দিকে পৌর শহরের জেলা পরিষদের ডাক বাংলোর সামনে বাউফল পৌরসেভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউল হক জুয়েলের পক্ষে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনরোধে প্রচারের জন্য একটি তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছিল। এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আসম ফিরোজ গ্রুপের বাউফল পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুকের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন নেতাকর্মী এসে বাধা দেয়। খবর পেয়ে মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল ঘটনাস্থলে আসলে ইব্রাহিম ফারুকের সাথে তার তর্কবিতর্ক হয়। এসময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা মারমুখি হয়ে পরে। ধাওয়াপাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। এ সময়ে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। পরে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
এই সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) জাকির হোসেন এবং বাউফল সার্কেলের সিনিয়র পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেনের মধ্যস্থতায় মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল ও ইব্রাহিম ফারুককে নিয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)র রুমে সমজোতা চলাকালে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির মোল্লার নেতৃত্বে কালাইয়া থেকে ২০-৩০ জন লোক মটর সাইকেলযোগে ডাকবাংলোর সামনে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে তোরণের বাঁশের খুটি ভেঙ্গে ফেলে। এতে মেয়র গ্রুপ উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে ধাওয়া করলে তারা ডাকবাংলোর মধ্যে আশ্রয় নেয়। তখন আসম ফিরোজ গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী তাপস (২৫), পঙ্কজ (৩৫) আহত হয়।
এ ঘটনার আগে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় একই গ্রুপে নাজিরপুর ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ও ছাত্রলীগ কর্মী শামীম এবং মেয়র গ্রুপের যুবলীগ কর্মী ইব্রাহিম (৩৫), বাউফল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ (২৫) আহত হয়। পুলিশ লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে। আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী তাপসকে (২৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পঙ্কজকে (৩৫) বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বাউফল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন সাংবাদিককে বলেন, পৌর মেয়র ও চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুককে নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে দুপক্ষ তোরণ করবে তবে দূরত্ব করে । এরই মধ্যে ফের দু পক্ষ সংর্ঘষ হওয়ার খবর পেয়ে সংর্ঘষ এড়াতে উভয় গ্রুপকে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ