পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই রাজধানীতে ঈদের কেনাকাটা করছেন অনেকে। গত কয়েক দিনের তুলনায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ক্রেতা সমাগমও বেশি। তবে দেশে করোনার ভয়াবহতা বাড়লেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা খুবই কম। নেই নিরাপদ দূরত্বও। কেনাকাটার ক্ষেত্রে শপিং মলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যবস্থা থাকলেও ছোট মার্কেটগুলি এর ব্যতিক্রম। ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছেনা এখানে। ফলে বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, জাঁকজমক করে ঈদ করার চেয়ে জীবন বড়। বেঁচে থাকলে উৎসব করে মার্কেট করে আবার ঈদ করা যাবে। কিন্তু ঈদ করতে গিয়ে যেন জীবন ঝুঁকিতে না পড়ে সেদিকে সবার নজর দিতে হবে।
সূত্র মতে, বসুন্ধরা শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্কসহ বড় বড় বড় শপিং মল বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি বাট্টা চলছে। বিশেষ করে ফুটপাত ও সড়কের পাশের দোকানগুলোতে ভিড় বেশি। নিউমার্কেট বন্ধ থাকলেও তার উল্টোদিকে গাউছিয়া ও চাঁদনী চক খোলা রয়েছে। সেখানে কেনাকাটাও চলছে বেশ। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব নেই। অনেকে বাচ্চাদেরও নিয়ে এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর গুলিস্তানের ফুটপাতে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই সাধারণ মানুষ কেনাকাটা করছে। ভিড়ের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
´বাইছ্যা লন, খুইজ্যা লন, এই দিকে এই দিকে, স্টক সীমিত। যেইড্যা লন একশ´, একশ।´ এভাবেই হাঁকডাক দিয়ে কেনাকাটা চলছে মিরপুর-১০ নম্বরের ফুটপাতে। স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। অধিকাংশের মুখে মাস্ক থাকলেও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় ভ্রুক্ষেপ নেই তেমন।
ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসা দোকানিরা জানান, দেশে করোনা সংক্রমণের পর অনেক দিন ফুটপাতে দোকান বসানো হয়নি। গত কয়েকদিনে আবারও ফুটপাতে দেদার চলছে কেনাকাটা।
গাউছিয়া ও চাঁদনী চক, গুলিস্তান এবং বাইতুল মোকাররমের সামনের রাস্তায় ভ্যানের ওপর ও রাস্তায় কয়েকশ’ দোকান খুলে বসে আছেন বিক্রেতারা। যেখানে কেনাবেচার হাঁকডাক চলছে। একাধিক ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। সজল হোসেন নামে এক বিক্রেতা বলেন, দোকান না বহাইলে খামু কী। পেট কেমনে চলব। এরই মধ্যে অনেক দেনা হয়েছে। দোকান বহাইতে পারলে পেডে খাবার যাইব।
ইসমাইল নামে আরেক বিক্রেতা জানান, অনেক দিন দোকান বন্ধ ছিল তার। স্বাভাবিক সময় ফুটপাতে দোকান বসাতে নানা ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়। এখন আরও ঝুঁকি নিয়ে দোকান বসিয়েছেন। প্রতিবার ঈদের আগে এই সময় কেনাবেচা বেশ জমে ওঠে। এবার করোনা সবকিছু বদলে দিয়েছে।
চাঁদনী চকে মনিরা হোসেন নামে এক নারীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, ধানমন্ডি থেকে ছেলেমেয়েদের জন্য কিছু পোশাক কিনতে এসেছেন। অল্প সময়ের মধ্যে কিনে আবার বাসায় ফিরে যাবেন।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, যারা ঈদের বাজার করতে যাচ্ছেন তাদের পক্ষে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, শুধুমাত্র মাস্ক আর গ্লাভস পরলেই করোনা থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব নয়। তাহলে এতো সংখ্যক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সংক্রমিত হতো না। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এক্ষেত্রে ঝুঁকি আরও বাড়বে।
এ বিষয়ে একমত পোশন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেছেন, আমারা বলেছি ঘরে থাকতে, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে, নয়তো করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করা যাবে না। এর ব্যতিক্রম হলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে- এটাই স্বাভাবিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।