পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সউদী আরবের গ্রান্ড মুফতির পরে এবার ঘরে বসেই ঈদের নামাজ আদায়ের আহবানন জানিয়েছে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ বিশ্ববিদ্যালয়। তারা বলেছে, মহামারি ঠেকাতে এবারের ঈদে বড় জমায়েত থেকে দূরে থাকাই সমীচীন হবে।
ভারতে ইসলামের সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মীয় এই শিক্ষাকেন্দ্র তাদের এক নির্দেশিকায় মুসলিমদের এবার নিজেদের ঘরের ভেতরেই ঈদ পালন করতে বলেছে। প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রতিবারের মতো সবাইকে নিয়ে যাতে ঈদ উদযাপন না-করা হয়, সে জন্য ‘হ্যাশট্যাগ নো ঈদ সেলিব্রেশন’ কিংবা ‘হ্যাশট্যাগ নো নিউ ক্লোদস ইন ঈদ’ সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ার করা হচ্ছে।
ভারতে ঈদের উদযাপন দেশের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবগুলোর একটি। সেখানে সতেরো কোটিরও বেশি মুসলমানের বাস। করোনাভাইরাস মহামারি ঠেকাতে যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিদান সারা দেশকে মেনে চলতে বলা হচ্ছে, তাতে সাড়া দিয়ে ইসলামের ধর্মীয় নেতারাও এবারে শুধু নিজের পরিবারের ও বাড়ির বৃত্তেই ঈদ পালন করার ডাক দিচ্ছেন।
জামিয়া মিলিয়া ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমেরিটাস আখতারুল ওয়াসি বলেন, ‘আমরা মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক নজিরবিহীন সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আর সে কারণেই দেওবন্দের সিদ্ধান্তকে আমাদের স্বাগত জানানো উচিত।’ তিনি বলেন, ‘ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমদের তারা যে ঘরের চার দেয়ালের মধ্যেই ঈদ পালন করতে বলেছেন, তাদের সেই সাহস ও প্রজ্ঞাকে সম্মান জানাই।’
এর আগে, মিশর ও সউদী আরব ঈদের ছুটিতে কারফিউ ঘোষণা করেছে, তুরস্কও বলেছে অন্যবারের মতো ঈদ পালন করা যাবে না। কিন্তু দিল্লির জামে মসজিদে, কলকাতার রেড রোডে বা শ্রীনগরের ঈদগাহ ময়দানে যে ধরনের বিশাল ঈদের নামাজ দেখতে সবাই অভ্যস্ত, তার ব্যতিক্রম হওয়ারও কি নজির রয়েছে?
এ বিষয়ে অধ্যাপক ওয়াসি জানাচ্ছেন, ‘ঠিক এবারের মতো না-হলেও অতীতে কিন্তু যখন প্রবল বর্ষায় ঈদ হয়েছে, আমাদের আলেম-উলেমারা বলেছেন প্রধান মসজিদে বা ঈদগাহ-র মাঠে জড়ো হতে হবে না, পাড়ার ছোট মসজিদেই ঈদের নামাজ আদায় করে নিন।’ তিনি বলেন, ‘ফলে বুঝতে হবে, এখন যা ঘটছে তা আমাদের হাতে নেই, এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আল্লাহ্ আমাদের শুধু সেই সব আচরণেরই কৈফিয়ত তলব করবেন, যেগুলো আমাদের হাতে ছিল।’ সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।