পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এবার ভিন্ন এক বাস্তবতায় ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। করোনাভাইরাসের কারণে পাল্টে গেছে সব কিছু। ঈদে থাকছে না কোন রাষ্ট্রীয় আয়োজন। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সর্বসাধারণের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়সহ মানুষের ভীড় হতে পারে এমন কোন অনুষ্ঠানই হচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস ইনকিলাবকে বলেন, ঈদের দিন প্রধানমন্ত্রী সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকেন কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এবার তা হচ্ছে না। এছাড়া সাধারণের ভীড় হয় এমন কোন অনুষ্ঠানই গণভবনে হবে না। তবে প্রধানমন্ত্রী সরকারের মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের সঙ্গে সল্প পরিসরে বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারে জন্য বিশেষ উপহার পাঠাবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে বেশিরভাগ মন্ত্রী ও এমপি এবার ঢাকায় ঈদ করবেন। আগের ঈদ গুলোতে দেখা গেছে প্রায় অর্ধেক মন্ত্রী ঢাকা এবং অর্ধেক নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করেছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা অনেকে ঢাকা এবং অনেকেই গ্রামে ঈদ করেছেন। অনেকে ঈদের আগে এলাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করে আসতেন, আবার অনেকে ঈদের দিন দুপুরে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে এলাকায় যেতেন নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে সকলেই ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়, নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাতের কর্মসূচী বাদ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবার এক ভিন্ন বাস্তবতায় আমাদের ঈদ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ঈদ উদযাপনের চেয়ে বেঁচে থাকার লড়াই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে আমরা সবাই ঈদ উদযাপনের অনেক সুযোগ পাব।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন ঢাকায়। মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গাজীপুর ঈদ উদযাপন করবেন। কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক ঈদ উদযাপন করবেন ঢাকায়। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামে, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ঢাকা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি ঢাকায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ঢাকায়, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ঢাকায়, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ঢাকায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ঢাকায়, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন নরসিংদীতে, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী নারায়ণগঞ্জে, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ঢাকায়, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার নওগাঁয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাটে, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ চট্টগ্রামে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ঢাকায়, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দিনাজপুরে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক নাটোরে ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল চট্টগ্রামে, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু ঢাকায় ঈদ করবেন। সভাপতিমÐলীর সদস্য সাজেদা চৌধুরী, কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, আব্দুল মান্নান খান ঢাকায় ঈদ করবেন। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর ঢাকায় ঈদ করবেন। আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক বগুড়ায় ঈদ করবেন। এছাড়া অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সকলেই ঢাকায় ঈদ করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।