Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাল চাঁদ দেখা গেলে পরশু ঈদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২০, ১২:৩৫ পিএম

আগামীকাল শনিবার বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪১ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে পরশু ঈদ। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণকালে এবার জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কারণে ঈদুল ফিতরের জামাত ঈদগাহ অথবা খোলা জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রত্যেক মসজিদেই একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অতিসম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সার্কুলার জারি করেছে। এ জন্য এবার রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ও দু’সিটি কর্পোরেশনের অধীনে কোনো খোলা জায়গা বা মাঠে ঈদ জামাত হচ্ছে না। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সকাল ৭টা থেকে এক ঘন্টা পর পর ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মহাখালিস্থ মসজিদুল গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

আগামীকাল শনিবার বাদ মাগরিব ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সভাকক্ষে চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ উপস্থিত থাকবেন না। তার অনুপস্থিতিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.নূরুল ইসলাম জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করবেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর এপিএস শেখ নাজমুল হক সৈকত এতথ্য জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
টেলিফোন নম্বর : ৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭। ফ্যাক্স নম্বর : ৯৫৬৩৩৯৭ ও ৯৫৫৫৯৫১।

 



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২২ মে, ২০২০, ৯:২৯ পিএম says : 0
    এখন বাংলাদেশ কানাডার চেয়ে ১০ ঘণ্টা এগিয়ে আছে সেজন্যে বাংলাদেশে দিন শেষ হলে কানাডায় সেই দিন শুরু হয় এটা অবশ্য ইংরেজি মাসের হিসাবে। আবার চাঁদের মাসের হিসাবে কানাডা বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে যেমন এখানে এখন শুক্রবার দিন আর বাংলাদেশে শুক্রবার দিন শেষ হয়ে রাত শুরু হয়েছে। তবে কানাডায় আজ ২৯ রোজা শুরু করেছি আগামীকাল শনিবার সম্ভবত ঈদ হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে শনিবার হচ্ছে ২৯ রোজা এবং রবিবার দিন হবে ঈদ। আমরা ভেবেছিলাম এখানে এই করোনা পরিস্থিতিতে ঈদের দিন আমি এবং আমার স্ত্রী ও ৪ মেয়ের পরিবার সহ কোন একটা পার্কে আমরা পরিবারের সবাই মিলে ঈদের আনন্দ উপভোগ করবো। কিন্তু হঠাৎ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অটোয়াতে বৃদ্ধি পাওয়াতে আবার আইন কঠিন ভাবে মানতে হচ্ছে তাই আমাদের ইচ্ছাকে বাতীল করতে হবে। এখন যেই অবস্থা সেই ভাবেই ঈদ উদযাপন করতে হবে। মানে আমরা ঈদের জন্যে কিছু আইটেম করবো মেয়েরাও করবে এবং যে যেই আইটেম করবে সে সেই আইটেম প্রত্যেকের বাসায় গিয়ে দিয়ে আসবে এবং নিয়ে আসবে পরে যার যার ঘরে গিয়ে সব খাবার একত্র করে খাবে। এভাবেই আমরা এই করোনা পরিস্থিতিতে ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছি। তারপরও মহান আল্লাহ্‌র কাছে কৃতজ্ঞ যে, তিনি আমাদেরকে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত রেখেছেন এবং রোজা করার ক্ষমতা দিয়েছেন এবং ঈদও করবো ইনশ’আল্লাহ। আল্লাহ্‌র কাছে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করছি আল্লাহ্‌ যেন আমাদেরকে সহ বিশ্ববাসীকে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত রাখেন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ