Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝুঁকি নিয়ে ঈদের কেনাকাটা

বৈরি আবহাওয়ায়ও মার্কেটে মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২০, ১২:০৫ এএম

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডব কমলেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের মধ্যে রাজধানীর খোলা মার্কেটগুলোতে মানুষ কেনাকাটা করছেন। বৈরী আবহাওয়ায় সামাজিক দূরত্ব ভেঙে মার্কেটে কেনাকাটায় ক্রেতাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো ভীতি দেখা যাচ্ছে না। তবে মুখে মাস্ক এবং হাত ধুঁইয়ে ক্রেতাদের মার্কেটে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

করোনার কারণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ জেলা শহরে মার্কেট, বিপনিবিতান ও শপিংমল বন্ধ। কেনাকাটায় ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা সম্ভব না হওয়ায় দোকান মালিক সমিতিগুলো এমন সিদ্ধান্ত নেয়। এসব সিদ্ধান্ত সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী ঈদের বিক্রির লোভ সংবরণ করতে না পেরে মার্কেট ও দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

গতকাল সকাল ১০টার দিক থেকে মহানগরীর এ্যালিফ্যান্ট রোড ও নিউ মার্কেট এলাকায় একধিক মার্কেট খুললে ক্রেতা আনাগোনা শুরু হয়। নীলক্ষেতে বেশ কিছু দোকানে ক্রেতা কম দেখা গেল। তবে পুরান ঢাকার লালবাগ কেল্লার মোড় মার্কেটগুলোতেও প্রচন্ড ভিড়। রাজধানীর আরো কয়েকটি শপিংমল ও মার্কেটেস ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানছেন কেউ না মেনেই করছেন ঈদের কেনাকাটা। যাত্রাবাড়ির মার্কেটগুলোতে বেশ ক্রেতা ভিড়। পুরান ঢাকার টিকাটুলী মোড় থেকে শুরু করে ওয়ারী, র‌্যাঙ্কিন স্ট্রিট, নবাবপুর রোড, বংশাল, নাজিমউদ্দিন রোড, মৌলভীবাজার, চকবাজার, উর্দু রোড, ইসলামপুর, নিউমার্কেট এলাকা এবং এলিফ্যান্ট রোডের দোকানগুলোতেও ব্যাপক লোকসমাগম লক্ষ্য করা গেছে।

ক্রেতা বিক্রেতাদের দেখে বোঝার উপায় নেই কয়েক ঘন্টা আগে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। টিকাটুলী এবং ওয়ারীতে পোশাক, জুতা, ইলেকট্রনিকসহ অন্যান্য পণ্যের সব দোকান খুলেছে। চকবাজারে প্লাস্টিক, খেলনা, গয়না ইত্যাদি মনোহারি পণ্যেও দোকানে বেচাকেনা হচ্ছে। উর্দু রোডে অভ্যন্তরীণ বাজারমুখী পাইকারি পোশাকের দোকানে কেনাবেচা চলছে। তবে ভয়াবহ চিত্র যাত্রাবাড়ি আরা আর লালবাগ কেল্লার মোড়। এই দুই স্পটে মানুষের ভিড়ে যেন তিল ধারণের জায়গা নেই। নিউ সুপার মার্কেটসহ এলিফ্যান্ট রোডের শপিংমলে অন্যান্য দিনের চেয়ে গতকাল ক্রেতা বেশি ছিল। এমনকি এসব মার্কেটের সামনের ফুটপাথেও ভ্রাম্যমাণ দোকানে বেচাবিক্রি চলছে। ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করেই কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। সারি সারি দোকান আর মার্কেটের ভিতর গলিতে মাল রাখার কারণে হাঁটার সুযোগও নেই।
অথচ ক্রেতাদের সাবানপানি দিয়ে হাত ধোঁয়া, স্প্রে টানেলের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করানো, হ্যান্ডগ্লাবস, মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। অনেক মার্কেটে দেখা যায় নিরাপত্তাকর্মীরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে ক্রেতাদের সতর্ক করছেন। কিন্তু ভিতরের বাস্তবতা ভিন্ন। দোকানো ক্রেতা বিক্রেতারা কেউ সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করছেন না। অবশ্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা এবং সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মার্কেট ও শপিং মল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে অল্প পরিসরে ১০ মে থেকে কিছু মার্কেট খোলা হয়েছে। মার্কেট খোলার প্রথম দিকে বেচাকেনা কম হলেও এখন কিছুটা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ মার্কেটে বেচাকেনা হচ্ছে। যারা মানছেন না তাদের দোকান মার্কেট বন্ধ করে দিচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ