পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁঁকি উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্ব ভেঙ্গে ঈদের আগে বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় একাধিক কারখানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, করোনায় গার্মেন্টস মালিকরা সবচেয়ে বেশি প্রণোদনা পেলেও বেতন দিচ্ছে না, এবং সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে শ্রমিক ছাঁটাই করছে।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে ঈদের আগে এপ্রিল মাসের বেতন ও শতভাগ বোনাসের দাবিতে কমলাপুরে সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন গার্মেন্টসের শত শত শ্রমিক। শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। আবির, লায়লা, সুমি ও শিরিনসহ বেশ কয়েকজন গার্মেন্টস কর্মী বলেন, ঈদের আগে সবার মোবাইল বিকাশে বেতনের টাকা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন মালিক পক্ষ। কিন্তু এখন বেতন দেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলে মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানা পুলিশের সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়।
এছাড়া পোস্তাগালা, সাভার, মহাখালি, ও মিরপুর ১০ নম্বরে পোশাক শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় কারখানায় ভাঙচুরেরও ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
বকেয়া বেতন ও শতভাগ উৎসব ভাতার দাবিতে কয়েক দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। শিল্প পুলিশের হিসেব মতে, সাড়ে সাত হাজার গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে বোনাস দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪২২টি কারখানায়। সাড়ে তিন হাজার কারখানায় এপ্রিলের বেতনও বাকি।
উল্লেখ, করোনার মধ্যেই প্রায় দুই মাস ধরে প্রতিদিনই সামাজিক দূরত্ব ভেঙ্গে বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিকরা বেতন বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করছে।
গার্মেন্টস ভাঙচুরের বিচার চায় বিজিএমইএ-বিকেএমইএ : করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল শ্রমিকদের ব্যবহার করে পোশাক শিল্পে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে বলে দাবি করেছেন তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের দুই সংগঠন। শ্রমিকদের এই এই আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী রয়েছেন, যারা প্রকৃত শ্রমিক নন বলেও মত পোশাকা কারখানা মালিকদের। এ অবস্থায় কারখানা ভাঙচুরকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
গতকাল বুধবার তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ ও নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায়। সংগঠন দুটি বলছে, শিল্প ও শ্রমিক একে অপরের পরিপূরক। শিল্প ভালো থাকলে শ্রমিক ভালো থাকবে। এ পর্যন্ত ডিবিএল, ওপেক্স, মেডলার, ইমপ্রেস, ভিশন, ডিজাইনটেক্স, সেনটেক্স, সিভিক অ্যাপারেলস লিমিটেড ও ফকির নিটওয়্যারসহ অনেক পোশাক কারখানা ভাঙচুর করা হয়েছে। বেলিসিমা ও সিভিক অ্যাপারেলস লিমিটেডের মালিকদেরকে সরাসরিভাবে অপদস্থও করা হয়েছে। এসব আইন বহির্ভূত ঘটনায় বহিরাগতদেরও উসকানি রয়েছে।
আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে গত ক’দিন ধরে বেতন-ভাতা পরিশোধের আন্দোলনের নামে যেভাবে পোশাক কারখানা ভাঙচুর করছে, তাতে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পে গভীর উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। বৈশ্বিক সমস্যা কোভিড-১৯ এর প্রভাবে যখন সমগ্র বিশ্ব অর্থনীতির গতি প্রকৃতি নড়ে গেছে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাবে রফতানিখাত তৈরি পোশাক শিল্পখাত বিপর্যস্ত। ক্রেতারা একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল করছেন। এমনকি অনেক ক্রেতা দেউলিয়াও হয়ে যাচ্ছেন। ঠিক এরকম একটি স্পর্শকাতর সময়ে শ্রমিকদের সরলতার সুযোগ নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদেরকে ব্যবহার করে শিল্পে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। যা মোটেও কাম্য নয়। আবার, এই আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারীরাও রয়েছেন, যারা প্রকৃত শ্রমিক নন। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে ছোট ও মাঝারি কারখানার পাশাপাশি বড় বড় কমপ্লায়েন্ট পোশাক কারখানা, যাদের কর্মপরিবেশ ভালো, বেতন-ভাতাও নিয়মিত পরিশোধ করা হয়; সেগুলোও আন্দোলনের নামে ভাঙচুর করে শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে বলে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মনে করে।
সংগঠন দুটির দাবি বর্তমান সঙ্কটময় মুহূর্তে বেতন বোনাস ইস্যুতে কারখানা ভাঙচুর করার যৌক্তিকতা নেই। কারণ, সরকার, মালিক ও শ্রমিক ত্রি-পক্ষীয় সিদ্ধান্তের আলোকে কারখানাগুলো সঙ্কটের মধ্যে থেকেই আপ্রাণ চেষ্টা করে বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।