Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আস্ফান মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০২০, ৬:০৪ পিএম

ঘূর্ণিঝড় আস্ফান পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নেতৃত্বে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সাথে যোগাযোগ রাখছে। সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সাথে দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রমের সমন্বয় ইতিমধ্যে করেছে। নিজস্ব উৎস থেকে ১৮,৪০০টি ত্রাণের প্যাকেট তৈরি করেছে এবং ৭১ টি ছোট মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। ১৪৫ টি ছোট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিম বিশেষ সরঞ্জামাদিসহ সংক্ষিপ্ত নোটিশে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বিমান বাহিনীর সকল এয়ারক্রাফট ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ চিকিৎসা ও উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বিমান বাহিনীর এয়ারক্রাফট গুলোর মধ্যে রয়েছে ৬টি পরিবহন বিমান ও ২২টি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে। আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ সরঞ্জামসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার দল নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা অঞ্চলে ২৫টি জাহাজ নিয়ে তৈরি আছে নৌবাহিনী। সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় দ্রুততম সময়ে জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, চিকিৎসা ও উদ্ধার অভিযানের জন্য বিমানবাহিনীর রয়েছে ৬টি পরিবহন বিমান ও ২২টি হেলিকপ্টার। অন্যদিকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে মানুষের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পুলিশের সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন।

এদিকে পুলিশ আস্ফানের মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে জনগণের সহযোগিতা চেয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় পারলে শুকনো খাবার ও খাওয়ার পানি সঙ্গে নিতে হবে। রাতে চলাচলে প্রয়োজনে হয় এমন সব ইলেকট্রনিক উপকরণ যেমন লাইট, ব্যাটারি ইত্যাদি সঙ্গে রাখতে হবে। ঘরে থাকা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, গ্যাসের চুলা বন্ধ রাখতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী যেমন মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিতে কেউ যেন ভুলবেন না। যতটা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই অবস্থানের চেষ্টা করুন। যেকোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক বা পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড় আম্ফান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ