পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন আমার বক্তব্য নাকি ফৌজদারি অপরাধের শামিল। আমি বলতে চাই, আমরা ঝুঁকির মধ্যেও নিজেদের টাকায় সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আর আপনারা নির্জন কক্ষে বসে বক্তব্য দিচ্ছেন। আর জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ তথাকথিত নির্বাচিত আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মেম্বার ও দলীয় লোকজন চুরি করছেন আত্মসাৎ করছে। এটা কোন ধরনের অপরাধের মধ্য পড়ে তা জানালে জনগণ উপকৃত হবে। ত্রাণ চুরি, প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদানের তালিকায় বিত্তবানদের নাম দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা কোন ধরনের অপরাধ এবং কোন আইনে এর বিচার করবেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের কাছে জানতে চেয়েছেন তিনি।
বুধবার রাজধানীর রূপনগর থানায় বিএনপি আয়োজিত ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক এবিএম রাজ্জাকসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, মধ্যরাতে রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতি করে সরকার গঠন করলেন এটা কোন ধরনের অপরাধের মধ্যে পড়ে আপনার কাছে জানতে চাই।হাছান মাহমুদ আপনি ও আপনার দলের লোকেরা নির্জন কক্ষে বসে বিএনপি´র নামে গালাগালি করছেন। আর আমরা ঝুঁকির মধ্যেও মানুষকে সহায়তা করছি। প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ করতে চেয়েছেন। গরীব অসহায় লোক এই তালিকা থাকার কথা।কিন্তু দেখা গেছে ২০০ জন লোকের নামের বিপরীতে একটি মোবাইল নাম্বার। তিনি এখন থেকে কিছু টাকা রেখে দিবেন। এটা কোন ধরনের পৈশাচিকতা। গরিব মানুষের পেটে লাথি মারা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আওয়ামী লীগের এক নেতার ১৩ জন আত্মীয়-স্বজনের নাম। এটা কোন ধরনের ফৌজদারি আইনে বিচার করবেন জানতে চাই।
এর আগে সকালে মোহাম্মদপুরে শ্রমিকদল আয়োজিত ত্রাণ বিতরণের সময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, অসহায় মানুষকে সহায়তা করা সরকারের লক্ষ্য নয়। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে করোনা মহামারী কে কাজে লাগিয়ে তাদের দলের লোকদের পেট ভরানো। এই কারণে বিরোধী দলের যারা সরকারের সমালোচনা করছে তাদেরকে গুম করছে গ্রেফতার করছে। জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ তথাকথিত নির্বাচিত আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান,মেম্বার ও দলের নেতাকর্মীরা আত্মসাৎ করছে। আর এগুলো যারা বলছে তুলে ধরছে তাদেরকে গুম করা হচ্ছে,গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।পরশুদিন হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের নেতা সাব্বির আহমেদকে তুলে নিয়ে গেছে। সে নাকি ফেসবুকে কি লিখেছে। গণতন্ত্র মানে তো সরকারের অনিয়ম অন্যায় দেখলে সমালোচনা করা। কিন্তু সরকার সেটা সহ্য করছে না।
তিনি বলেন, আমরা অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে ত্রাণ দিচ্ছি। বাধা-বিপত্তি কেন বিএনপি´র কোন মানবকল্যাণের কাজ করলেও সরকার সহ্য করে না। প্রতিহিংসায় ভোগে। কেন বিএনপি গরিব মানুষকে চাল ডাল দিবে, সহতা করবে। সরকার এটাকে ভালো চোখে দেখছে না।তাই কোন না কোন দিন আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে অস্বীকার করে।কিন্তু মানুষ দেখছে পোশাক পরিহিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ধরে নিয়ে আসে। এতে এলাকাবাসী এবং পরিবার আতঙ্কিত হয়। ধরে নিয়ে যাওয়ার একদিন কিংবা দুইদিন পরে মিথ্যা মামলা দিয়ে থানায় দেয়। এরপরে কারাগারে পাঠানো হয়। সরকার এত উন্নয়ন করছে বলে দাবি করে তাহলে এতো ভীতু কেন। এত আতঙ্কিত কেন। আতঙ্কিত এইজন্য তারা যে সরকার চালাচ্ছে এটা অবৈধ। এখানে জনগণের কোন সাপোর্ট নেই। জনগণ তাদের ভোট দেয়নি।রাতের অন্ধকারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে ভোট ডাকাতি করে তারা নির্বাচিত হয়েছে। এইজন্য তারা সব সময় আতঙ্কিত থাকে। এই বুঝি গদি গেল। ক্ষমতা চলে গেল। এইজন্যই বিরোধীদল যেকোনো কাজ করলে তাতে সরকার আতঙ্কিত থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।