পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা দুর্যোগেও থেমে নেই প্রতারণা। দুর্নীতি বিরোধী রাষ্ট্রীয় সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)র কর্মকর্তা পরিচয়ে এ প্রতারণা চলছে। সরকারি চাল চুরি,ত্রাণ সামগ্রি বিতরণে অনিয়মের বহু ঘটনা ঘটছে। বেশিরভাগ ঘটনার সাথেই জড়িত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,ইউপি সচিব এবং টিসিবি ডিলার। বিপরীতে দুদক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। মামলা করছে। গ্রেফতারও করা হচ্ছে। সরকারি চাল চুরি, ত্রাণ সামগ্রি আত্মসাত ও মজুতদারদের বিষয়ে দুদক গ্রহণ করেছে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি। এ প্রেক্ষাপটকে ‘সুযোগ’ হিসেবে নিয়েছে প্রতারক শ্রেণী। তারা জনপ্রতিনিধি, সরকারি চাল বিপণন এবং ত্রাণ বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ফোন দিচ্ছে। চাল চুরি এবং ত্রাণ সামগ্রি বিতরণে দুর্নীতি-অনিয়ম সংঘটিত হওয়ার ভুয়া অভিযোগ আনছে। দুদকের কর্মকর্তা সেজে প্রতারকরা এসব অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ দাবি করছে। দেশের উত্তরবঙ্গ, সিলেট, চট্টগ্রাম এবং দক্ষিণাঞ্চলে প্রতারণার মাধ্যমে ভুক্তভোগীদেও কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সংস্থাটি জানায়, দেশের ভিভিন্ন অঞ্চলে দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারি কিংবা দুদকের পদস্থ কর্মকর্তাদের নিকটাত্মীয় পরিচয় দিয়ে প্রতারক চক্র জনপ্রতিনিধি এবং বেসরকারি ব্যক্তিদের মোবাইলে ফোন করে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। অর্থ দাবি করছে। বিষয়টি কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে।
দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব ভট্টাচার্য্য এ বিষয়ে বলেন, দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে কেউ ফোন করে অর্থ দাবি করলে নিকটস্থ থানা,র্যাব কার্যালয় কিংবা দুদকের নিকটস্থ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছি। প্রয়োজনে দুদক পরিচালক (গোয়েন্দা) মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর সঙ্গে ০১৭১১৬৪৪৬৭৫ নম্বরে ফোন করে অভিযোগও জানাতে পারেন। দুদক এসব প্রতারকদের বিষয়ে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
এদিকে দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারি পরিচয়ে প্রতারণার বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি ব্যক্ত করেছেন সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। গতকাল মঙ্গলবার তিনি বলেন, কমিশনের ঊর্ধ্বতনকর্তৃপক্ষ কিংবা তাদের স্বজন পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত প্রতারকচক্র জনপ্রতিনিধি ও ত্রাণ তৎরপতায় সম্পৃক্তদের সাথে প্রতারণা করছে। কয়েকটি চক্রের বিরুদ্ধে আগেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কমিশন নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতায় তাদের গ্রেফতার করেছে। তবুও করোনার এই দুর্যোগকে সুযোগ ভেবে প্রতারক চক্র আবারও সক্রিয় হওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে যারা এ ধরণের ঘটনার শিকার তাদের একটি বিষয় অনুধাবন করা জরুরি। সেটি হচ্ছে, কমিশনের বিবেচনাধীন কোনো অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তের ক্ষেত্রে দুদক কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে টেলিফোন করার কোনো সুযোগ নেই। প্রশাসনিক নির্দেশনার মাধ্যমে অনেক আগেই এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।