পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনায় সংকটে পড়া সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি আজ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ১৬তম সভাশেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ ঘোষণা দেন।
ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ও তথ্যসচিব কামরুন নাহার, ট্রাস্টের সদস্য সচিব ও পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদসহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের নানা পেশার মানুষের মতো বহু সাংবাদিকও অসুবিধায় পড়েছেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘তাদের আর্থিক সহায়তার বিষয়টি আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেছিলাম। সে প্রেক্ষিতে এ পরিস্থিতিতে যারা অসুবিধায় পড়েছে, তাদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তার জন্য তাঁর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আমরা আজকে একটি বিশেষ তহবিল থেকে সাংবাদিকদের সহায়তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কারা এই তহবিল থেকে সহায়তা পাবে সেটি নিয়েও আমরা বিস্তারিত আলোচনা করে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। যারা স¤প্রতি চাকুরিচ্যুত হয়েছে, গত ৬ মাস ধরে যারা বেকার রয়েছে, আবার যাদের চাকুরি আছে, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাচ্ছেন না -তারা এই এককালীন জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা সহায়তার আওতায় আসবেন’।
মন্ত্রী বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে সারাদেশে করোনা সংকটে পড়া সাংবাদিকরা এ সহায়তার আওতায় আসবেন। নির্ধারিত ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী কারা সহায়তা পাবেন সেটি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এবং ইউনিয়ন ঠিক করবে।’
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই ২০১৪ সালে এই কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ১১শ ৬৭জন সাংবাদিক এই কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ৯ কোটি ৬৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সহায়তা পেয়েছে। ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার আগেও ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সালের শেষ পর্যন্ত ৬২৩ জন সাংবাদিককে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছিল।’
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে প্রতিবছর দুস্থ, অসহায়, অসুস্থ সাংবাদিকদের যে সহায়তা দেয়া হয়, তা অব্যাহত আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গত বছর সেই খাতে ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা সাংবাদিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল। আজকের বোর্ড মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই খাতে এ বছর ২ কোটি টাকা দেয়া হবে।
করোনা মহামারির এসময় বাংলাদেশের সাংবাদিক ভাই-বোনেরা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছে ও ইতোমধ্যেই শতাধিক সাংবাদিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং ৩ জন মারা গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী প্রয়াতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।
তিনি বলেন, ‘সঠিক সংবাদ মানুষের কাছে পৌঁছার জন্য তারা এই দুর্যোগ, প্রতিকূলতা ও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার মধ্যেও কাজ করছেন। এজন্য সব সাংবাদিককে আমি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।’
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রেস) এস এম মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু এবং দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. কাশেম হুমায়ুন সভায় অংশ নেন।
সূত্র: বাসস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।