বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালী জেলার সর্বত্র গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। এর মধ্যে দুপূরের দিকে কলাপাড়াএবং গলাচিপা এলাকায় হালকা বৃষ্টি হলেও আবহাওয়া যথেষ্ট উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে ক্ষয়-ক্ষতির মোকাবেলা আর উপকূলের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারী করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে নিরাপদে রাখতে আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোতে নেয়া শুরু হয়েছে। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী পটুয়াখালীর উপকূলে অবস্থানরত সকল মাছধরা ট্রলার সহ নৌযানকে নিরাপদে আশ্রয়ে থাকতে ইতোমধ্যে রাঙ্গাবালী,কলাপাড়া ওগলাচিপা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীতে মাইকিং করা হচ্ছে।এছাড়া পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরী বৈঠক করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা ত্রান ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন দুর্গত এলাকার মানুষসহ সকলের জন্য জেলায় সাইক্লোন শেল্টারসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে মোট ৭৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার জন্য সকলকে নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। তিনি জানান, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারে ৯ হাজার হাজার ৭৫০ জন মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। ঘুর্নিঝড় আম্পানে দূর্তগতদের জন্য ২শ মেট্রিকটন চাল, নগদ ৩ লক্ষ টাকা, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ২ লক্ষ টাকা, গো খাদ্য ক্রয়ের জন্য ২ লক্ষ টাকা ও শুকনা ৩ হাজার প্যাকেট খাবার মজুদ রাখা হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থানে ও দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সচেতন করতে সিপিপি’র উদ্যোগে মাইকিং করে জন সাধারনকে সামাজিক দুরত্ব মেনে নিজ নিজ স্থানে নিরাপদে থাকতে বলা হচ্ছে। এছাড়াও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে লাল পতাকা উড়িয়ে বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। জেলার বিভিন্ন হাট বাজারেও লাল পতাকা উড়িয়ে বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে।
এক দিকে করোনা আতংক অপর দিকে সকাল থেকে আকাশ মেঘলা হওয়ায় ক্রমেই আতঙ্ক বাড়ছে গোটা উপকূলীয় এলাকার মানুষের মাঝে।
জেলার কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো:শওকত হোসেন বিশ্বাস জানান,তার এলাকার মুন্সীপাড়া থেকে পশুরবাড়ীয়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার এলাকা দীর্ঘবছর পর্যন্ত বেড়ীবাধহীন অবস্থায় রয়েছে ওই এলাকায় প্রায় ৭-৮ হাজার েেলাকের বসবাস,তারা সারাবছরই বিশেষ করে দূর্যোগ এলে চরম ঝুকির মধ্যে চলে যায় ঐ লোকজন। ঐ এলাকায় ৫ টি সাইক্লোন সেল্টার রয়েছে ,আমরা তাদেরকে নিরাপাদ আশ্রয় নিয়ে আসতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।ফনি ওবুলবুলের পরে এলাকায় বেড়ীবাধ করার আশ্বাস প্রদান করা হলেও অদ্যাবধি তার কোন সমাধান না হওয়ায় এবারো ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকা রয়েেেছ এ এলাকার লোকজনের।
মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সজাগ থাকার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রায় ৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সদস্য প্রস্তুত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।