Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের মৃত্যু

ঢামেকে আরো একজনের প্লাজমা সংগ্রহ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢামেকের করোনা ইউনিটে ১৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকী ১৩জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ঢামেকের করোনা ইউনিটে গত রোববার ১২ জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনজন মহিলা ও একজন পুরুষের মৃত্যু হয়। বাকী ৮জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ পর্যন্ত ঢামেকের করোনা ইউনিটে ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুরু হওয়া পরীক্ষামূলক প্লাজমা থেরাপি কার্যক্রমে তিন চিকিৎসকের পর এবার প্লাজমা দিলেন করোনাজয়ী এক সাংবাদিক। একটি বেসরকারি সাংবাদিক আশিকুর রহমান অপু ঢামেক হাসপাতালের এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। গত শনিবার এ কার্যক্রমের শুরুতেই তিন জন করোনাজয়ী চিকিৎসকের প্লাজমা দেয়ার মাধ্যমে এ প্লাজমা থেরাপির কার্যক্রম শুরু হয়। আগামী সপ্তাহে শেষের দিকে এ প্লাজমা থেরাপির করোনা আক্রান্ত শ্বাসকষ্ট রোগীদের ২০০ এম এল করে শরীরে দিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হবে বলে জানা গেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, করোনা ইউনিটে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী ছাড়া উপসর্গ আছে এমন রোগী, নিউরো সার্জারি, অর্থোপেডিক্স, শিশু বিভাগের রোগীরাও চিকিৎসা পাচ্ছেন। এমনকি করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা নারীদের চিকিৎসা দেয়া হয়। তাই অনেক সাধারণ রোগী আছে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে শেষ মুহুর্তে ঢামেকে আসেন। যখন আসে তখন চিকিৎসকদের আর কিছু করার থাকে না। এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমন দাবি করলেও করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী, রোগীর স্বজন, মৃত রোগীর স্বজনরা ভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এখানে আসা গুরুত্বর অসুস্থ অনেক রোগী সময়মতো সেবা পাননা বলেও কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ও প্লাজমা থেরাপির জন্য গঠিত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান বলেন, যারা প্লাজমা দিচ্ছেন তাদের ভয়ের কোনও কারণ নেই, তারা নিরাপদ থাকবেন। কোনও ধরনের রি-ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের প্রতি অনুরোধ, আপনার দেয়া প্লাজমাতে সুস্থ হতে পারেন আরেকজন মানুষ। তাই সবাইকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি।
অধ্যাপক এম এ খান বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পরপরই যেসব রোগীদের শ্বাসকষ্ট শুরু হবে তাদের যদি সঙ্গে সঙ্গে এক ব্যাগ বা ২০০ মিলিলিটার প্লাজমা দেয়া যায় তাহলে তার অবস্থা খারাপের দিকে না গিয়ে ফল ভালো আসবে। কারণ প্লাজমা শরীরের রক্তের মধ্যে যে ভাইরাস থাকে তাকে অকেজো করে দেয়। অ্যাণ্টিবডি তৈরি করে ভাইরাসের বিপক্ষে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ (ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) প্লাজমা থেরাপি অনুমোদন দেয়ার পর অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন এ উদ্যোগ নেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানানো হলে ১২ এপ্রিল এ নিয়ে বৈঠক হয়। গত ১৮ এপ্রিল তাকে প্রধান করে চার সদস্যের টেকনিক্যাল সাব কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বাকি তিন সদস্য হলেন-ঢামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এবং ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মাজহারুল হক তপন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ