পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সউদী আরবে প্রতিদিন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বাংলাদেশিদের লাশ জমা হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালের হিমঘরে। পরিবারের সম্মতি না পাওয়ায় স্থানীয়ভাবে লাশগুলো দাফনও করা যাচ্ছে না। এদিকে সউদী আরবে মারা যাওয়া প্রবাসীর লাশ বাংলাদেশে পাঠানো হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। স্থানীয়ভাবে লাশ দাফনের জন্য সউদী সরকার বাংলাদেশ দূতাবাসকে বার বার চাপ দিচ্ছে।
জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের একটি সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণকারী প্রবাসীদের লাশ স্থানীয়ভাবে দাফনের জন্য তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের অফিস বন্ধ থাকায় মৃত প্রবাসী কর্মীদের স্বজনদের সাথে দ্রæত যোগাযোগ করে লাশ দাফনের অনুমতি সউদীতে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র জানায়, প্রতি বছর সউদী আরবে প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি কর্মী বিভিন্ন কারণে মারা যায়। করোনায় এ পর্যন্ত ৭৭ প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। দু’শতাধিক প্রবাসী কর্মীর লাশ বিভিন্ন হাসপাতাল মর্গে পড়ে রয়েছে। যথাসময়ে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া গেলে যথাযথভাবে লাশ দাফন করা সম্ভব হবে। গত বছরও সউদীতে ৯৯৮ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১১৩ জনের লাশ পরবিারের আবেদনে স্থানীয়ভাবে দাফন করা হয়। আর বাকি লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। করোনা সঙ্কটকালে সব পরিবারকে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সউদীতে লাশ দাফনের অনুমতি দিতে অনুরোধ জানিয়েছে দূতাবাস ও কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দা। লাশ সউদী আরবে দাফন করা হলেও মৃত ব্যক্তির পরিবার তিন লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা পাবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের কর্মকর্তা শরিফুল আলম গতকাল ইনকিলাবকে জানান, গত বছর সউদীসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৩ হাজার ৬৫৮ জন প্রবাসী কর্মীর লাশ দেশে আনা হয়েছে। লাশ দাফনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকা করে ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। এছাড়া একই বছর ৪ হাজার ৭৭ জন মৃত প্রবাসী কর্মীর প্রতি পরিবারের মাঝে তিন লাখ টাকা করে ১২০ কোটি ১০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়।
এছাড়া করোনার কারনে অফিস বন্ধ থাকায় প্রবাসী মৃত কর্মীর স্বজনরা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে তিন লাখ টাকার আর্থিক অনুদান পাচ্ছে না। এসব মৃত প্রবাসীর অসহায় পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা অনলাইনের মাধ্যমে তিন লাখ টাকার আর্থিক অনুদান ঈদের আগেই পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।